APJ Abdul Kalam যার পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী এবং রাষ্ট্রপতি যিনি ২০০২ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি তামিলনাড়ুর রামেশ্বরমে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল কালাম এর পুরো পরিচয় নিচে দেওয়া হয়েছে
নাম | আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম |
পিতা | জেনুলাবিদ্দীন মারাকায়ার |
মাতা | অশিয়াম্মা |
জন্মতারিখ | ১৫ অক্টোবর ১৯৩১ |
জন্মস্থান | রামেশ্বরম, ভারতবর্ষ |
কে ছিলেন | অধ্যাপক, লেখক, বিমান প্রযুক্তিবিদ |
শিক্ষা | সাহিত্য পাশ্চাত্য, দর্শন, ধর্ম, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ও শিল্পকলা |
বিদ্যালয় | শোয়ার্টজ হিগ্যের সেকেন্ডারি স্কুল, রামনাথপুর |
বিশ্ববিদ্যালয় | সেন্ট জোসেফ’স কলেজ, তিরুচিরাপপল্লী |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
ধর্ম | ইসলাম |
উল্লেখযোগ্য উপাধি | মিসাইল ম্যান, ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ |
মৃত্যু | ২৭ জুলাই ২০১৫ |
আরো পড়ুন – এ.পি.জে আব্দুল কালাম বাণী
আরো পড়ুন – স্বামী বিবেকানন্দের জীবনী
ডঃ এ পি জে আব্দুল কালাম তামিলনাড়ুর এক মুসলিম গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি তার পরিবারের সাথে তামিলনাড়ুর মন্দির শহর রামেশ্বরমে থাকতেন, যেখানে তার বাবা জয়নুলাবদিনের একটি নৌকা ছিল এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম ছিলেন।
একই সময়ে, তার মা, আশিয়াম্মা, একজন গৃহিণী ছিলেন। কালামের পরিবারে চার ভাই ও এক বোন ছিল, যার মধ্যে আব্দুল কালাম ছিলেন সবার ছোট। আব্দুল কালাম পূর্বপুরুষরা ছিলেন ধনী ব্যবসায়ী এবং জমির মালিক এবং তাদের বিশাল জমি ও সম্পত্তি ছিল।
আবদুল কালামের পরিবার খুবই গরীব থাকার কারণে আবদুল কালামকে ছোটবেলা থেকেই কাজে লেগে যেতে হয়েছিল| তিনি ছোটবেলা থেকে নিউজ পেপার বিক্রি করতে তার পরিবারের সংসার চালানোর জন্য|
এপিজে আবদুল কালাম খুবই শান্ত প্রকৃতির ব্যক্তি ছিলেন|এপিজে আবদুল কালাম তার বাবা-মায়ের কাছে থাকতেন ছোটবেলা থেকে এবং তার পরিবার খুবই গরীব ছিল তাই পরিবারের আয় বাড়ানোর জন্য স্কুলে থাকাকালীন তাকে একটি চাকরি নিতে হয়েছিল তার পরিবারের সাহায্য করার জন্য সংবাদপত্র বিতরণ করেছিলেন।
তিনি একজন বি আব্দুল কালাম খুবই বুদ্ধিমান যুবক ছিলেন,আব্দুল ছোটবেলা থেকেই অনেক নানান নানান বই পড়তেন এবং সর্বদা নতুন জিনিস শিখতে আগ্রহী থাকতেন। তিনি রামানাথপুরম শোয়ার্টজ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে তার স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে তিরুচিরাপল্লির সেন্ট জোসেফ কলেজে পদার্থবিদ্যা অধ্যয়ন করতে যান, যেখান থেকে তিনি 1954 সালে স্নাতক হন।
তারপর তিনি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়ন করেন, 1960 সালে স্নাতক হন। তার শৈশব ছিল একটি অধ্যয়ন। একজন ফাইটার পাইলট কিন্তু সে তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি।
শোয়ার্টজ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রামানাথপুরম-এ শিক্ষা শেষ করার পর, কালাম সেন্ট জোসেফ কলেজ, তিরুচিরাপল্লীতে ভর্তি হন, যা তখন মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে অধিভুক্ত ছিল, যেখান থেকে তিনি 1954 সালে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন।
এ.পি.জে. আব্দুল কালাম মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে যোগদান করেন, যেখানে তিনি 1960 সালে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি লাভ করেন। স্নাতক শেষ করার পর তিনি ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)-এ ভারতীয় সামরিক গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন এবং পরে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একজন শীর্ষ বিজ্ঞানী হওয়ায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে তাঁর প্রত্যক্ষ অবদান অনন্য ও প্রশংসনীয়। তার পাণ্ডিত্যপূর্ণ গবেষণা প্রকাশনা, নিবন্ধ, বই ইত্যাদি বৈমানিক, ব্যালিস্টিকস এবং ধাতুবিদ্যার ক্ষেত্রে গবেষণা এবং অধ্যয়নের জন্য নতুন পথ খুলে দিয়েছে।
তিনি INCOSPAR (ভারতের জাতীয় কমিটি) কমিটির অংশ হিসেবে বিখ্যাত বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের সাথে কাজ করেছেন। তিনি ডিআরডিওতে একটি ছোট হোভারক্রাফ্ট ডিজাইন করে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।
তার কর্মজীবনের প্রথম দিকে, তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য একটি ছোট হেলিকপ্টার ডিজাইন করেছিলেন।
1963 থেকে 1964 সাল পর্যন্ত ড. এ.পি.জে. আবদুল কালাম মেরিল্যান্ডের গ্রিনবেল্টে ডিফেন্স গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, ভার্জিনিয়ার পূর্ব উপকূলে ওয়ালপস ফ্লাইট এফিসিয়েন্সি এবং ভার্জিনিয়ার হ্যাম্পটনে নাসার ল্যাংলি রিসার্চ সেন্টার পরিদর্শন করেন।
তিনি 1965 সালে DRDO-তে একটি সম্প্রসারণযোগ্য রকেট প্রকল্পে স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করেন। তিনি DRDO-তে তার কাজ নিয়ে খুব বেশি সন্তুষ্ট ছিলেন না এবং 1969 সালে ISRO-তে স্থানান্তরের আদেশ পেলে খুশি হন। সেখানে তিনি SLV-III-এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
1980 সালের জুলাই মাসে, তার দল পৃথিবীর কক্ষপথের কাছে রোহিণী উপগ্রহ স্থাপনে সফল হয়েছিল। এটি ভারতের প্রথম দেশীয় নকশাকৃত এবং নির্মিত স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান।
আবদুল কালাম 1969 সালে সরকারের অনুমোদন লাভ করেন এবং আরও প্রকৌশলীকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রোগ্রামটি প্রসারিত করেন।
1970-এর দশকে, তিনি পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (PSLV) তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে ভারত তার ইন্ডিয়ান রিমোট সেন্সিং (IRS) উপগ্রহ সূর্য-সিঙ্ক্রোনাস কক্ষপথে উৎক্ষেপণ করতে পারে, PSLV প্রকল্পটি সফল হয়েছিল এবং 20 সেপ্টেম্বর 1993 তারিখে, এটি প্রথমবারের মতো চালু করা হয়েছিল
1970 থেকে 1990 সাল পর্যন্ত SLV-3 এবং পোলার SLV-এর প্রকল্পগুলির উন্নয়নে ডক্টর কালামের প্রচেষ্টা বেশ সফল বলে প্রমাণিত হয়েছিল।
ডাঃ কালাম প্রজেক্ট ভ্যালিয়েন্ট এবং প্রজেক্ট ডেভিল পরিচালনা করেছিলেন যার লক্ষ্য ছিল এসএলভি প্রোগ্রামের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা, যা সফলও হয়েছিল
DRDO দ্বারা পরিচালিত একটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় 1980 এর দশকের গোড়ার দিকে অন্যান্য সরকারী সংস্থার সাথে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (IGMDP) চালু করেছিল।
আবদুল কালামকে এই প্রকল্পের নেতৃত্ব দিতে বলা হয়েছিল এবং তাই তিনি IGMDP-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে DRDO-তে ফিরে আসেন। তার নির্দেশের কারণে অগ্নি মিসাইল, পৃথ্বীর মতো অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে সফল হয়েছিল।
এপিজে আবদুল কালাম শুধু ভারতবর্ষের এই নয় গোটা বিশ্বে তার নাম সবাই পছন্দ করে এবং তাঁর অবদান কেউ হয়তো আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না তিনি পুরো মানুষের কাছে এক অনুপ্রেরণা হয়ে রয়েছে| তার দেওয়া বাণী ও তার কর্ম দ্বারা সবাইকে জীবনে বাঁচার পথ দেখিয়েছে|ও সমস্ত যুবকদের চেয়ে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা দিয়েছে|এছাড়া তিনি
তিনি ভারতের প্রথম দেশীয় স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল (SLV-3) বিকাশে প্রকল্প পরিচালক হিসাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন যা জুলাই 1980 সালে রোহিণী উপগ্রহটিকে কাছাকাছি-আর্থ কক্ষপথে ইনজেকশন করেছিল এবং ভারতকে স্পেস ক্লাবের একচেটিয়া সদস্য করে তোলে।
স্যার কালাম ভারতের 11 তম রাষ্ট্রপতি হওয়ার অধিকারী ছিলেন। 25শে জুলাই 2002 থেকে 25শে জুলাই 2007 পর্যন্ত তার মেয়াদকাল 2002 সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে অর্জিত হয়েছিল। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স তাকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেছিল এবং এটি সমাজবাদী পার্টি এবং জাতীয় কংগ্রেস পার্টি দ্বারা সমর্থিত হয়েছিল।
তিনি জনগণের কল্যাণে এবং সারাদেশে অগণিত কাজ করেছেন বলে তাকে ভালবাসার সাথে জনগণের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ডাকা হয়। কঠিন বা সংবেদনশীল বা অত্যন্ত বিতর্কিত যাই হোক না কেন সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি যথেষ্ট সাহসী এবং সাহসী ছিলেন।
“লাভের অফিস” সম্ভবত একটি কঠিন আইন যা তাকে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল। 1701 সালে ইংলিশ অ্যাক্ট অফ সেটেলমেন্ট অনুসারে “লাভের কার্যালয়” ব্যাখ্যা করে যে রাজপরিবারের অধীনে একজন পেশাদার সেট আপ করা কোনো একক ব্যক্তি নয়,
2005 সালে বিহারে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার জন্য তিনি সবচেয়ে আলোচিত রাষ্ট্রপতি শাসনে পরিণত হয়েছিলেন। কালাম আরও একবার পদ গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কিন্তু পরে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
অফিস থেকে বিদায় নেওয়ার পর, তিনি শিলং-এর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টে ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি তামিলনাড়ুর আন্না ইউনিভার্সিটিতে অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যাপক হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি তার উপস্থিতি এবং জ্ঞান দিয়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইন্দোর, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ব্যাঙ্গালোরের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আলোকিত করেছিলেন। স্যার কালাম ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, তিরুবনন্তপুরমের চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
2012 সালে, তিনি “আমি কী দিতে পারি?” নামে একটি প্রোগ্রাম চালু করেছিলেন? দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূলের প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে।
এপিজে আবদুল কালাম তার জীবনে প্রচুর উপাধি অর্জন করেছে তার মধ্যে আমরা কিছু উপাধি তুলে ধরে ধরলাম
১৯৮১ | পদ্মা ভূষণ Padma Vibhushan |
১৯৯০ | পদ্মা ভূষণ Padma Vibhushan |
১৯৯৭ | পদ্মা ভূষণ Padma Vibhushan |
১৯৯৭ | ইন্দিরা গান্ধী অ্যাওয়ার্ড ফর ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেশন |
১৯৯৮ | ভীর সাভারকার অ্যাওয়ার্ড |
২০০৭ | কিং চার্লস ইই মেডেল (রয়েল সোসাইটি,UK) |
২০১৪ | ডাক্তার অফ সাইন্স (এডিনবরা ইউনিভার্সিটি, UK) |
“ স্বপ্ন সেটা নয় যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখাে। স্বপ্ন হলাে সেটাই যা পূরণের অদম্য ইচ্ছা তােমায় ঘুমাতে দেবে না।” A. P. J. Abdul Kalam
“যে অন্যদের জানে সে শিক্ষিত, কিন্তু প্রকৃত জ্ঞানী হলাে সেই ব্যক্তি যে নিজেকে জানে। জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কোনাে কাজেই আসেনা।” A. P. J. Abdul Kalam
“জীবনে কঠিন সব বাঁধা আসে, তোমায় ধ্বংস করতে নয় বরং তোমার ভীতরের লুকোনো শক্তিকে অনুধাবন করাতে। বাঁধাসমূহকে দেখাও যে তুমিও কম কঠিন নও।“ এ.পি.জে. আবদুল কালাম
“যে মানুষগুলো তােমাকে বলে, তুমি পারাে না বা তুমি পারবেই না, তারাই সম্ভবত সেই লােক যারা ভয় পায় এটা ভেবে যে তুমি সেটা পারবে।” A. P. J. Abdul Kalam
“অসাধারণ হওয়ার জন্য কঠিন যুদ্ধে নামার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, যতক্ষণ না আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌছাচ্ছেন।” A. P. J. Abdul Kalam
“তুমি যদি এখন থেকেই তােমার স্বপ্নগুলাে সত্যি করার পেছনে ছুটে না চলাে, একদিন তােমাকে কাজ করতে হবে অন্যদের অধীনে তাদের স্বপ্নগুলাে সত্যি করার জন্য।” A. P. J. Abdul Kalam
২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধে সাড়ে ছটায় শিলংয়ের আই আইএমের এক অনুষ্ঠানে ডেকেছিল এপিজে আবদুল কালাম কে সেখানে কিছু বক্তব্য রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের ওপরেই পড়ে যান এবং এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam) স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । সেখানেই A.P.J. Abdul Kalam আমাদের ও পুরো বিশ্বকে ছেড়ে চলে যায়
এপিজে আবদুল কালাম আমাদের সবার মনে প্রাণে জড়িয়ে রয়েছে এপিজে আবদুল কালামের কখনো মৃত্যু হতে পারে না |এপিজে আবদুল কালাম আমাদের পুরো ভারতবর্ষের নয় পুরো বিশ্বে তার এই অবদান সবাই মনে রাখবে|
আশা করি আপনি এই এপিজে আব্দুল কালাম এর বায়োগ্রাফি থেকে অনেক কিছু শিখিয়েছেন এবং তাঁর বাণী গুলি কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার জীবনে অনেক সফলতা অর্জন করতে পারবেন |আপনারা ভালো থাকুন সুখে থাকুন
এপিজে আব্দুল কালাম এর বায়োগ্রাফি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না|
এপিজে আব্দুল কালাম কি বিয়ে করেছিলেন.
না, এক ইন্টারভিউতে তিনি বলেছিলেন যে আমি বিয়ের কথা ভুলে গিয়েছি
ভারতের missile projects, Prithvi and Agni missiles উন্নয়নে অবদানের জন্য ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডঃ এপিজে আব্দুল কালামকে ‘ভারতের মিসাইল ম্যান’ বলা হয়। তিনি প্রথম দেশীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ যান তৈরিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
জেনুলাবিদ্দীন মারাকায়ার
আছিয়াম্মা জয়নুলাবিদ্দীন
2 thoughts on “এ.পি.জে আবদুল কালাম – biography apj abdul kalam biography in bengali”.
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
এ.পি.জে.আব্দুল কালামের জীবনী: এ.পি.জে.আব্দুল কালাম, ওরফে আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম, ভারতের মিসাইল ম্যান, ভারত তথা যুব সমাজের আইকন যিনি একজন সাধারণ পেপার বিক্রেতা থেকে তাঁর কর্ম, নিষ্ঠা ও সরল জীবনযাপনের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের পদে অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন! ভারতের এক জ্বলন্ত উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালাম। আজ এই মহান স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালামের জীবনী নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। তার আগে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ওঁনার কর্মজীবন ও কাহিনী সংক্ষেপে।
আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম | |
১৫ই অক্টোবর, ১৯৩১ | |
রামেশ্বরাম, রামনাথ স্বামী জেলা,মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত। | |
অশিয়াম্মা | |
আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন | |
ইসলাম | |
হৃদরোগ | |
২৭শে জুলাই, ২০১৫ |
Table of Contents
আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম ওরফে এ.পি.যে.আব্দুল কালাম তথা ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির রামনাথস্বামী জেলার রামেশ্বরামে অর্থাৎ বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরামের এক তামিল মুসলিম পরিবারে ১৯৩১ সালের ১৫ই অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। এই মহান আত্মার বাবা হলেন আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন, যিনি ছিলেন এক ইমামসাহেব ও মা হলেন গৃহবধূ অশিয়াম্মা। এই পরিবারের কনিষ্ঠ সন্তান হলেন আব্দুল কালাম স্যার! খুবই গরিব এই পরিবারের পঞ্চম সন্তান ছিলেন আব্দুল কালাম। ছোট থেকেই অনেক কষ্টে ও আধপেটা খেয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছিলো তাঁকে।
অত্যন্ত গরিব পরিবারের সন্তান অথচ পড়াশোনার প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল তাঁর ছোটবেলা থেকেই। ভীষণই মেধাবী ছাত্র ছিলেন আব্দুল কালাম স্যার। ছাত্রাবস্থা থেকেই তাঁর ছিলো শিক্ষাগ্রহণের তীব্রবাসনা! প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পরে রামনাথপুরম ‘স্কোয়ার্টজ ম্যাটিকুলেশন স্কুল’ থেকে বাকি শিক্ষা সম্পূর্ণ করেন। উচ্চশিক্ষার জন্য এরপর তিরুচিরাপল্লীর ‘সেন্ট জোসেফস কলেজ’এ ( St. Joseph’s College) ভর্তি হন ও ১৯৫৪ সালে সেখান থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে স্নাতক (Graduation) ডিগ্রি লাভ করেন। এরপরে ১৯৫৫ সালে তিনি মাদ্রাজে চলে আসেন ও সেখানেই ‘মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ (madras institute of technology) থেকে বিমানপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন।
শিক্ষা সম্পূর্ণ হলে, ১৯৬০ সালে ‘ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা’র ‘এরোনোটিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট’এ একজন বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন। এছাড়াও তিনি ‘ভারতীয় জাতীয় মহাকাশ গবেষণা কমিটি’তে প্রখ্যাত মহাকাশবিজ্ঞানী ড.বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে কাজ করতেন। ১৯৬৯ সালে তিনি এরপর ‘ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা’য় বদলি হন যেখানে তিনি ১৯৭০-১৯৯০ সালের মাঝে ভারতের কৃত্রিম উপগ্রহ পিএসএলভি এবং এসএলভি-।।।, প্রকল্পের সফল পরিচালক ছিলেন। এরপরে ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি ছিলেন। রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অবসরের পর তিনি ‘ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট অফ শিলং’, ‘ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট অফ আহমেদাবাদ’ ও ‘ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট অফ ইন্দোর’-এর ভিজিটিং প্রফেসর হন। স্যার আব্দুল কালাম হায়দ্রাবাদের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজিতে, বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে ও আন্না বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষাদান করেছিলেন।
অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন কে.আর.নারায়ণের স্থলাভিষিক্ত হয়ে ভারতের একাদশতম পদপ্রার্থী হন স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালাম এবং জয়লাভও করেন। ২০০২ সালের ২৫শে জুলাই থেকে ২০০৭ সালের ২৫শে জুলাই পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতির স্থানে অধিষ্ঠিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
ভারতের মিসাইল ম্যান স্যার এ.পি.জে.আব্দুল কালাম নিজের কর্মকাণ্ডের দ্বারা পেয়েছেন বিভিন্ন সম্মান ও পুরস্কার। তিনি মোট ৪০টি দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মোট ৭টি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট উপাধি পেয়েছেন। ১৯৮১ সালে পেয়েছেন পদ্মভূষণ, ১৯৯০ সালে পেয়েছেন পদ্মবিভূষণ এবং নিজের অসামান্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য ভারতরত্ন পান ১৯৯৭ সালে! এছাড়াও তাঁর নামে বিভিন্ন রাস্তা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, সংস্থা ইত্যাদির নামকরণ করা হয়েছে।
এই মহান কর্মঠ মানুষটির ২০১৫ সালের ২৭শে জুলাই মেঘালয়ের শিলং শহরে প্রতিষ্ঠিত ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট’ নামক প্রতিষ্ঠানে ‘পৃথিবীকে কীকরে আরো বসবাসযোগ্য করে তোলা যায়’-এই বিষয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় সন্ধ্যা ৬:৩০টা নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হন ও সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়না! এই মহান আত্মা ইহলোক ত্যাগ করে ৭:৪৫টা নাগাদ পরলোকগমন করেন।
পৃথিবীতে এমন একটিও মানুষ নেই যিনি এই মহান মানবকে পছন্দ করেন না বা ভালোবাসেন না। বাচ্চাদের খুব ভালোবাসতেন তিনি। সবাই ওনাকে ভালোবাসি। উনি যে আমাদের সকলের প্রিয় ‘মিসাইল ম্যান’!
রেলের wi-fi ব্যবহার করে একজন সাধারণ কুলি থেকে ias, জেনে নিন ias শ্রীনাথের জীবন কাহিনী।, ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে সফল ias অফিসার, কিভাবে পড়লে স্বপ্ন সফল হবে জানালেন অফিসার আরুশি শর্মা।, most popular, জুলাই মাসে কবে কবে সরকারি দপ্তর এবং স্কুল কলেজে থাকবে ছুটি জেনে নিন।, ibps ক্লার্কের জন্য শুরু হলো নিয়োগ প্রক্রিয়া, জানুন বিস্তারিত।, নুন্যতম মাধ্যমিক পাশে নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় কর্মচারী, রয়েছে অনেক শূন্যপদ জানুন বিস্তারিত।, দামোদর ভ্যালিতে কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি,জানুন বিস্তারিত।, প্রকাশ পেলো ২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার রুটিন, আরো এগিয়ে এলো পরীক্ষা নাকি জানুন।, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু, জানুন বিস্তারিত।.
Disclaimer: "𝐄𝐱𝐚𝐦𝟑𝟔𝟓 𝐁𝐞𝐧𝐠𝐚𝐥𝐢 "𝐢𝐬 𝐧𝐨𝐭 𝐚 𝐫𝐞𝐜𝐫𝐮𝐢𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐚𝐠𝐞𝐧𝐜𝐲 𝐚𝐧𝐝 𝐧𝐨 𝐫𝐞𝐜𝐫𝐮𝐢𝐭𝐦𝐞𝐧𝐭 𝐢𝐬 𝐝𝐨𝐧𝐞 𝐛𝐲 𝐮𝐬. So before applying for any job, please read the official site notification and Verify twice. Remember it doesn't cost money to get a government job. So don't bribe anyone. If someone demands a bribe for a govt job, You must inform the police about this.👮 Business ideas/Income Ideas are for educational purposes only. We do not guarantee their effectiveness or success. We encourage you to conduct thorough research and seek professional advice before starting any business venture.
A.p.j. abdul kalam biography in bengali.
এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali : মিশাইল ম্যান অগ্নিপুরুষ এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ.পি.জে. আবদুল কালামকে মিশাইলম্যান বলা হয়ে থাকে । ২০০২ সালে কালাম তৎকালীন শাসকদল ভারতীয় জনতা পার্টি ও বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাঁচ বছর এই পদে আসীন থাকার পর এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) শিক্ষাবিদ, লেখক ও জনসেবকের সাধারণ জীবন বেছে নেন। ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ।
মিশাইল ম্যান এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর একটি সংক্ষিপ্ত জীবনী । এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali বা এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী বা (A.P.J. Abdul Kalam Jivani Bangla. A short biography of A.P.J. Abdul Kalam. A.P.J. Abdul Kalam Birth, Place, Life Story, Life History, Biography in Bengali) এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবন রচনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ – ২০০৭)। কালাম তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ঘটনাচক্রে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কালামের জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে। এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফ’স কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এম আই টি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন।
| |
| |
| |
১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামানাথপুরম জেলায় রামেশ্বরম দ্বীপসাগরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ।
পিতা জয়নুল আবেদিন ছিলেন পেশায় মৎসজীবি । খুব বেশী শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না তিনি । তবে মনের দিক থেকে তিনি ছিলেন খুবই বড়োমাপের । ছোটবেলা থেকে পুত্র আবদুলের মনে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন । বারবার তিনি গল্পছলে আবদুলকে বলতেন পরবর্তী কালে তুমি যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠতে পারে ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন তিন ভাই আর একবোনের সংসার । জালালউদ্দিন আর সামসুদ্দিনের সঙ্গে আবদুলের ছোটোবেলার দিনগুলি কেটে গিয়েছিল । পরবর্তীকালে আবদুল স্বীকার করেছেন , বেড়ে ওঠার এই ব্যস্ত প্রহরে দু – ভাইয়ের সান্নিধ্য এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam) নানাভাবে উপকৃত করেছিল । তিন ভাই ছিলেন পিতার আদর্শে গড়া সততার প্রতিমূর্তি।
মা আসিয়ানা সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকতেন । শত দুঃখকষ্ট জ্বালা যন্ত্রনাকে সহ্য করার মতো সহিষ্ণুতা লুকিয়ে ছিল তার অন্তরে ।
মায়ের পরিবারের পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ প্রদত্ত বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন । মা কিন্তু তার এই ভাগ্য বিপর্যয়কে হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন । তিনটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তানকে কীভাবে মানুষের মত মানুষ করে বড়ো করা যেতে পারে , তাই ছিল তাঁর ইহজীবনের স্বপ্ন । ছোটবেলার খেলার সাথীদের কথাও মনে পড়ে যায় আবদুলের । মেলামেশা করতেন রামনাথ শাস্ত্রী , অরবিন্দন আর শিব প্রকাশনের সঙ্গে , তাঁরা সকলেই ছিলেন সনাতনপন্থী হিন্দু পরিবারের সন্তান । আর আবদুল গোড়া মুসলমান । কিন্তু শৈশবে তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার ভেদ রেখা ছিল না । তখন তাঁরা সকলেই একসঙ্গে মেলামেশা করতেন ।
ভারী সুন্দর ছিল শৈশবের এই অকলঙ্ক দিনগুলি । পৃথিবীর কোনো সমস্যার বোঝা তখন আমাদের মাথার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি । স্মৃতিচারণের মাধ্যমে বারবার এই হারিয়ে যাওয়া রঙিন দিনগুলির কথা শুনিয়েছেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম । তখন সারা বছরের সবচেয়ে বড়ো উৎসব ছিল শ্রী সীতারাম কল্যানম্ উৎসব । গোটা পরিবার এই উৎসবে অংশ নিত । রাম সীতার মূর্তি মন্দির থেকে নৌকায় করে তুলে বিবাহমন্ডপে নিয়ে যাওয়া হত । আবার উৎসব শেষ হলে দুটি মূর্তিকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হত মন্দিরে ।
কাছেই একটি পুকুর ছিল রামতীর্থ । সেখানে এই দুটি মূর্তিকে শ্রদ্ধাসহকারে অবগাহন করানো হত । ভাবতে অবাক লাগে , আজ থেকে কত বছর আগে গোড়া মুসলমান পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আবদুল পরম আগ্রহে ওই বাৎসরিক উৎসবে যোগ দিতেন ।
দিন কাটতে থাকে এবার কালামকে বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে হবে । পিতা ছিলেন বিদ্যানুরাগী , সংস্কৃত সাহিত্যের গল্পকথা আবদুলকে শোনাতেন । মা ঠাকুরমার মুখ থেকে আবদুল রামায়ণ এবং মহাভারতের অনেক কাহিনীও শুনেছিলেন । এই ভাবে তাঁর হৃদয়ে সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবাহিত হয়েছিল । তিনি ভর্তি হলেন রামেশ্বরম এলিমেন্টরি স্কুলে । পাশাপাশি বেঞ্চে বসে ক্লাস করেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পুত্রের সঙ্গে । টিফিনে একই খাবার ভাগ করে খান । এখানে কোথায় যেন একটা অঘটন ঘটে গেল । কালাম তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র । মাথায় টুপি পরতেন । এই টুপি দেখে বোঝা যেত এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) মুসলমান পরিবারের সন্তান । ক্লাসে সবসময় প্রথম বেঞ্চে বসতেন । একদিন কঠিন কঠোর নীতিবাগীশ শিক্ষকমশাই আবদুলকে প্রথম বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিলেন । আবদুল এই অপমান অনেক দিন মেনে নিতে পারেননি । অবশ্য পরবর্তীকালে ওই মাস্টারমশাই তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছিলেন । তিনি আবদুলকে আবার প্রথম বেঞ্চে ডেকে নেন ।
রামেশ্বরমে তখন ছোটো ছোটো সামাজিক গোষ্ঠীর অস্তিত্ব ছিল । এক গোষ্ঠীর সদস্যের সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর সদস্যের ক্ষমতার লড়াই চলত । এই ভেদনীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ধ্বজা তুলে ধরতে চেয়েছিলেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শিক্ষক শিব সুব্রহ্মনিয়াম আয়ার । আয়ার ছিলেন আবদুলের অত্যন্ত প্রিয় শিক্ষক ।
কালাম বড়ো হলেন । গ্রামের সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে উঠলেন । খেতে ভালোবাসতেন মাদ্রাজি খাবার , কলা , ভাত আর সম্বর । লঙ্কার সঙ্গে চাটনি । আবদুলের বাড়ি থেকে রামেশ্বরমের বিখ্যাত শিবমন্দিরটির দূরত্ব খুবই কম । সেই মন্দিরে মাঝে মাঝে যেতেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ।
চোখ বন্ধ করলে ছোটোবেলার খন্ড খন্ড ছবি ভেসে ওঠে । রামেশ্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষিলছমন শাস্ত্রীর সঙ্গে পিতার আধ্যাত্মিক আলোচনা বুঝি এখনো শুনতে পান এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । মুসলমান পিতা এবং হিন্দু পুরোহিত দুধরনের পোশাক পরে একই বিষয় নিয়ে ভাববিনিময় করছেন ।
একটু বড়ো হয়ে আবদুল বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাবা , প্রার্থনার কি কোনো আলাদা অর্থ আছে ?
বাবা বলেছিলেন শোনো আবদুল , প্রার্থনার একটা আলাদা মূল্য আছে । প্রত্যেক মানুষের মধ্যে আত্মা আছে । প্রার্থনার দ্বারা আত্মার সাথে দেহের যোগসূত্র স্থাপিত হয় ।
পরবর্তীকালে কালাম জানিয়েছেন আমার বাবার আধ্যাত্মিক চিন্তা ছিল সহজ সরল গ্রাম্য প্রকৃতির । তিনি বলতেন , এ পৃথিবীর সকলেই ঐশ্বরিক অস্তিত্বের অঙ্গ । সকলের মধ্যে স্বয়ং আল্লাহ বসবাস করছেন ।
এবার কালাম এলেন বৃহত্তর শিক্ষাঅঙ্গনে । ভর্তি হলেন স্টুওয়াজ হাইস্কুলে । ছোটোবেলার সঙ্গী সাথীদের সাথে আর তার দেখা হতো না । কিশোর কালাম উপলব্ধি করলেন সেই শাশ্বত সত্য জীবনে চলার পথে এভাবেই আমরা একলা পথিক হয়ে যাই । এই হাইস্কুলের অনেকের কথাই মনে পড়ে । ওখানকার শিক্ষক ইয়াদুরাই সলোমনকে তিনি কখনো ভুলতে পারবেন না । তাকে দেখে কিশোর কালামের মনে হত , তিনি বোধহয় বৈদিক যুগের এক ব্রহ্মচারী । ছাত্রের জীবন অন্বেষণার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন ।
সলোমন কালামকে কর্মযোগী পুরুষে পরিণত করেছিলেন । এই শিক্ষক কালামকে তিনটি মূল মন্ত্র শিখিয়েছিলেন । জীবনে সফল হতে গেলে তিনটি গুণের অধিকারী হতে হবে ইচ্ছা , বিশ্বাস এবং আশাবাদ । ইচ্ছা হল স্বপ্নের প্রথম প্রহর । যদি মনের মধ্যে ইচ্ছার বীজ তপ্ত না হয় তাহলে আমরা সফলতার গাছ কখনো দেখতে পাব না । দ্বিতীয় প্রহর হল বিশ্বাস । নিজের কর্তব্যবোধের ওপর অবিচল আস্থা থাকতে হবে । ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস এবং নির্ভরতা রাখতে হবে।
সর্বশেষ প্রহরে আশাবাদ জেগে ওঠে । আশাবাদ না থাকলে অরণ্যচারী মানুষ আজ মহাকাশ বিজয়ী হতে পারতনা ।
পরবর্তীকালে সলোমন রেভারেন্ড হয়েছিলেন । তিনি কালামকে বলেছিলেন , কোনো কাজ সার্থকভাবে পূর্ণ করার আগে তোমাকে সেই কাজটির জন্য বাসনা তৈরী করতে হবে । মনে মনে বারবার বলতে হবে , এই কাজটি আমার দ্বারাই হবে । এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আমি এই পৃথিবীর বুকে জন্মগ্রহণ করেছি ।
শিক্ষকের আর একটি কথা কালামকে উদ্দীপ্ত করত । পড়াতে পড়াতে তিনি প্রায়শই বলতেন , বিশ্বাসের জোরে তুমি ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে ।
পরবর্তীকালে কালাম এই ব্যাপারটি নিজের জীবনে সত্যি বলে প্রমাণ করেছিলেন । সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি জগৎ সভায় ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন ।
এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছোটোবেলা থেকেই ছিলেন বিজ্ঞানের এক অসাধারণ প্রভাবশালী ছাত্র । স্কুলের পরীক্ষাতে বরাবর কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছেন । তার কর্মজীবনটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ১৯৫০ সালে সেন্ট জোসেফ কলেজে ভর্তি হলেন কালাম , ইন্টারমিডিয়েট কোর্সে । সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর ম্যাড্রাস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভর্তি হন এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য ।
১৯৬০ – এ বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেন ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে ( ডি আর ডি ও ) । কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছোট মাপের একটি হেলিকপ্টারের নকশা করার মধ্য দিয়ে । কিন্তু দ্রুতই উত্থান ঘটে তার । ভারতের মহাকাশ গবেষণার সংস্থা ইসরো – র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি । দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত সামরিক মিসাইল তৈরির প্রকল্পে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন । মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস এল ভি এবং এস এল ভি থ্রি রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ বলা হয় তাঁকে । পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য তাঁর অবদান অনস্বীকার্য । ১৯৯৮ সালে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ পোখরান – টু ’ প্রকল্পের চিফ প্রজেক্ট কোঅর্ডিনেটর ছিলেন তিনি ।
দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞানী হিসাবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন । রাজনীতির অঙ্গনে প্রবেশ করা । রাষ্ট্রপতির পদে দাঁড়ানো এবং সেই পদে নির্বাচিত হওয়া । রাষ্ট্রপতি হিসাবে বিভিন্ন বিতর্কমূলক কাজে জড়িয়ে পড়া । নিজেকে রাজনৈতিক দলাদলির উর্দ্ধে রাখা , এমন অনেক আদর্শ স্থানীয় কাজ করে আজ কালাম আমাদের কাছে এক মহান মানুষে পরিণত হয়েছেন । আজও মাঝে মাঝে তিনি বিভিন্ন জায়গাতে ভাষণ দিতে যান । যেখানেই যান , সেখানেই তাঁর শিক্ষকসুলভ দার্শনিকতা প্রস্ফুটিত হয়ে ওঠে ।
সব অর্থে কালামকে আমরা এক ভারতীয় ঋষির সঙ্গে তুলনা করতে পারি । জীবনে তিনি দ্বার পরিগ্রহ করেননি । আজীবন ব্রহ্মচারী তাপসের মতো জীবন কাটিয়েছেন । তাই তাঁর প্রতি আমরা আমাদের অস্তরের সশ্রদ্ধ প্রণিপাত নিবেদন করি । ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে এ.পি.জে. আবদুল কালামকে এক উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসাবে আমরা অবশ্যই চিহ্নিত করব ।
১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর আত্মজীবনী— “ উইঙ্গস অফ ফায়ার ” । এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত আছে মানব কল্যাণে উৎসর্গীকৃত প্রাণ এই মহান বিজ্ঞানীর অন্তরের ইচ্ছা ।
[ আরও দেখুন , জগদীশ চন্দ্র বসুর জীবনী – Jagdish Chandra Bose Biography in Bengali ]
উড়ান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস ভি এবং এস এল ভি থ্রি রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ বলা হয় । পরমানু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) এর অবদান অনস্বীকার্য । ১৯৯৮ সালে পরমানু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত ‘ পোখরান – টু ’ প্রকল্পের চিফ প্রজেক্ট কো – অর্ডিনেটর ছিলেন তিনি ।
২০০২ সালে ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । ২০০২-২০০৭ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) । পরে এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) শিলং আই আই এম – এ ভিজিটিং প্রফেসর হন ।
[ আরও দেখুন , প্রফুল্ল চন্দ্র রায়ের জীবনী – Prafulla Chandra Ray Biography in Bengali ]
এক নজরে সম্মান : পদ্মভূষণ ( ১৯৮১ ) পদ্মবিভূষণ ( ১৯৯০ ) ইনস্টিটিউট অব ডিরেক্টর্স ( ইন্ডিয়া ) -র ডিশটিংগুইশড ফেলো ( ১৯৯৪ ) ভারতরত্ন ( ১৯৯৭ ) ইন্দিরা গান্ধী পুরস্কার ( ১৯৯৭ ) বীর সাভারকর পুরস্কার ( ১৯৯৮ ) রামানুজন পুরস্কার ( ২০০০ ) ইংল্যান্ডের উলভারহ্যাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৭ ) কিং চার্লস টু মেডেল ( ২০০৭ ) আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৮ ) সিঙ্গাপুরের নান্যাঙ্গ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৮ ) ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির ইন্টারন্যাশনাল ভোন কর্মণ উইংস অ্যাওয়ার্ড ( ২০০৯ ) হুভার মেডেল ( ২০০৯ ) আমেরিকার ওকল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০০৯ ) কানাডার ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১০ ) ইনস্টিটিউট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্সের সাম্মানিক সদস্যপদ ( ২০১১ ) কানাডার সাইমন ফ্রেজার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১২ ) ইংল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেট ( ২০১৪ ) ।
২৭ শে জুলাই ২০১৫ ভারতের পরমানু গবেষনার পথিকৃৎ তথা দেশের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ , ভারতের একাদশতম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে ( আবুল পকির জয়েনুল আবদিন ) এ.পি.জে. আবদুল কালামের ( ৮৪ ) জীবনাবসান হয় ।
২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধে সাড়ে ছটায় শিলংয়ের আই আইএমের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের ওপরেই পড়ে যান । এ.পি.জে. আবদুল কালামকে (A.P.J. Abdul Kalam) স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় । সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছিল ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জন্ম হয় ১৫ অক্টোবর ১৯৩১ সালে ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর পিতার নাম জয়নুল আবেদিন ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর মাতার নাম অশিয়াম্মা ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ২০০২ সালে ভারতের রাষ্ট্রপতি হোন ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৮১ সালে পদ্মভূষণ পান ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর আত্মজীবনী ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৯৭ সালে ভারতরত্ন পান ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ১৯৫০ সালে সেন্ট জসেফ কলেজে ভর্তি হন ।
Ans: এ.পি.জে. আবদুল কালাম ২৭ জুলাই ২০১৫ সালে মারা যান ।
[ আরও দেখুন , সত্যেন্দ্রনাথ বসুর জীবনী – Satyendra nath Bose Biography in Bengali
আরও দেখুন , রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – Rabindranath Tagore Biography in Bengali
আরও দেখুন , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর জীবনী – Ishwar Chandra Vidyasagar Biography in Bengali
আরও দেখুন , সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জীবনী – Sourav Ganguly Biography in Bengali
আরও দেখুন , মেরি কম এর জীবনী – Mary Kom Biography in Bengali ]
অসংখ্য ধন্যবাদ সময় করে আমাদের এই ” এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali ” পােস্টটি পড়ার জন্য। এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali পড়ে কেমন লাগলো কমেন্টে জানাও। আশা করি এই এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর জীবনী – A.P.J. Abdul Kalam Biography in Bengali পোস্টটি থেকে উপকৃত হবে। এই ভাবেই BhugolShiksha.com ওয়েবসাইটের পাশে থাকো যেকোনো প্ৰশ্ন উত্তর জানতে এই ওয়েবসাইট টি ফলাে করো এবং নিজেকে তথ্য সমৃদ্ধ করে তোলো , ধন্যবাদ।
বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনী – bidhan chandra roy biography in bengali, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনী – rabindranath tagore biography in bengali, নরেন্দ্র মোদীর জীবনী – narendra modi biography in bengali, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জীবনী – mamata banerjee biography in bengali, শোয়েব আখতার এর জীবনী – shoaib akhter biography in bengali, লাল কৃষ্ণ আদভানি এর জীবনী – lal krishna advani biography in bengali, আপ্যাল কোম্পানি সম্পর্কে কিছু তথ্য – facts about apple company in..., শিল্প ও শিল্প অবস্থান সম্পর্কিত তত্ত্ব (অর্থনৈতিক ভূগোল – ভূগোল) প্রশ্ন..., হো চি মিনের জীবনী – ho chi minh biography in bengali, নেটফ্লিক্স সম্পর্কে কিছু তথ্য – facts about netflix in bengali, madhyamik english suggestion 2023 | মাধ্যমিক ইংরেজি সাজেশন ২০২৩, madhyamik physical science suggestion 2025 | মাধ্যমিক ভৌত বিজ্ঞান সাজেশন ২০২৫, বোঝাপড়া (কবিতা) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর – অষ্টম শ্রেণীর বাংলা প্রশ্ন ও উত্তর..., madhyamik english suggestion 2020 | পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইংলিশ সাজেশন 2020.
Madhyamik english question paper 2015 | মাধ্যমিক ইংরেজি প্রশ্নপত্র ২০১৫, madhyamik english question paper 2016 | মাধ্যমিক ইংরেজি প্রশ্নপত্র ২০১৬, madhyamik english question paper 2017 | মাধ্যমিক ইংরেজি প্রশ্নপত্র ২০১৭, popular posts, hs bengali suggestion 2023 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৩, hs bengali suggestion 2024 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২৪, hs bengali suggestion 2022 | উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন ২০২২, popular category.
এপিজে আব্দুল কালাম কে? কোথায় বাড়ি? জীবন ে কিভাবে সফল হয়েছেন? আসুন জেনে নিন এপিজে আব্দুল কালাম এর জীবন পরিচয়, পরিবার, শিক্ষা , মোট সম্পত্তি ও রাজনৈতিক বিবরণ জানুন (APJ Abdul Kalam Biography in Bengali)।
এপিজে আব্দুল কালাম কে চেনেন না এমন ভারত ীয় খু বই কম পাওয়া যাবে। এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্র ের একাদশ রাষ্ট্রপতি। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি তার কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করেছেন।
একজন বিজ্ঞানী হিসেবে পরবর্তীতে এপিজে আব্দুল কালাম ঘটনা চক ্রে ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফ’স কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এমআইটি (MIT) থেকে তিনি পড়াশোনা করেছিলেন।
জীবনযাত্রা খুবই সাধারণ থাকলেও তার কর্ম জীবন ছিল অসাধারণ। প্রধানত তিনি ৪০ বছর রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন ডি আর ডি ও (DRDO) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় ইসরো বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রসাশন হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি যেমন একাধারে ছিলেন বিজ্ঞানী তেমনি অন্য হাতে তিনি সামলেছেন দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্বভার। তাকে অনেকে মিসাইল ম্যান নামে ও চেনেন। তো চলুন তাহলে আজকের এই লেখাতে মিসাইল ম্যান এপিজে আব্দুল কালামের জীবন সম্পর্কে কিছু জানা যাক:
এপিজে আব্দুল কালামের জন্ম হয়েছিল ১৯৩১ সালের ১৫ ই অক্টোবর তামিলনাড়ুর রামনাথ পুরম জেল ায় রামেশ্বরম দ্বীপসাগরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে।
এপিজে আব্দুল কালামের পিতা জয়নুল আবেদিন ছিলেন পেশায় মৎস্যজীবী। বেশি শিক্ষিত তিনি ছিলেন না, তবে মনের দিক থেকে তিনি ছিলেন খুবই উদার মনোভাবের এবং খুবই বড় মাপের একজন মানুষ।
ছোটবেলা থেকে পুত্র আব্দুলের মনে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন পিতা জয়নুল আবেদিন। সব সময়ের জন্য গল্পের মাধ্যমে আব্দুল কে তিনি পরবর্তীকালে একজন মানুষের মত মানুষ হয়ে ওঠার অনুপ্রেরণা জাগাতেন।
এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন তিন ভাই আর এক বোন, ভাই জালাল উদ্দিন আর শামসুদ্দিনের সঙ্গে আব্দুলের ছোটবেলার দিনগুলি কেটেছিল খুবই সুন্দরভাবে। পরবর্তীকালে আব্দুল বলেন যে, তার দুই ভাই এর অনেক উপকার রয়েছে তার উপরে।
তাছাড়া এই তিন ভাইয়ের পিতার আদর্শ ছিল এতটাই মহান যে, সেই আদর্শে তিন ভাই খুবই ভালোভাবে বড় হতে শুরু করলেন। পিতার প্রতিভা সন্তান ের মধ্যে কতটা প্রতিক্রিয়া করতে পারে সেটা এপিজে আব্দুল কালাম কে দেখলেই বোঝা যায়।
এদিকে তাঁদের মা আসিয়ানা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংসদের সমস্ত কাজ করতে ব্যস্ত থাকতেন। শত দুঃখ, কষ্ট, যন্ত্রণা, থাকা সত্বেও তিনি সেগুলি কাউকেই বুঝতে দিতেন না। স্নেহ, ভালোবাসা, সহিষ্ণুতা দিয়ে তাদেরকে আগে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ জাগাতেন।
এপিজে আব্দুল কালাম এর মায়ের পরিবারের পূর্বপুরুষরা ব্রিটিশ প্রদত্ত বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। কিন্তু মা খুবই বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে হাসিমুখে সেই পরিস্থিতিকে মেনে নিয়েছিলেন তিনটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তানকে কিভাবে মানুষ করবেন সেই চিন্তা নিয়ে।
তাছাড়া ছোটবেলায় খেলার সাথীদের মধ্যে ছিল রামনাথ শাস্ত্রী, অরবিন্ধন আর সিতাপ্রকাশন তারা সকলেই ছিলেন সনাতনপন্থী হিন্দু পরিবারের সন্তান। আর আব্দুল ছিলেন মুসলমান পরিবারের সন্তান। কিন্তু শৈশবে তাদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার ভেদাভেদ কোনোভাবেই দাগ কাটতে পারেনি।
তখন তারা সকলেই একসঙ্গে খেলাধুলা করেই বড় হয়েছেন। সাধারণ জীবন যাপনের মত খুবই সুন্দর এবং মিষ্টি ছিল এপিজে আব্দুল কালামের শৈশবকাল। পৃথিবীর কোন সমস্যার বোঝা তখন তাদের মাথার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।
তখনকার দিনে সারা বছরের সবথেকে বড় উৎসব ছিল শ্রী সীতারাম কল্যাণম উৎসব, গোটা পরিবার এই উৎসবে অংশ নিতেন। রাম সীতার মূর্তি মন্দির থেকে নৌকায় করে তুলে বিবাহ মণ্ডপে নিয়ে যাওয়া হতো আবার উৎসব শেষ হলে দুটি মূর্তি ফেরত নিয়ে যাওয়া হতো মন্দিরে। তার কাছাকাছি ছিল একটি পুকুর, রাম তীর্থ। সেখানে এই দুটি মূর্তিকে শ্রদ্ধা সহকারে স্নান করানো হতো।
ভাবতে অবাক লাগে যে, আজ থেকে কত বছর আগে গোড়া মুসলমান পরিবারের সন্তান হওয়ার সত্বেও আব্দুল পরম আগ্রহে ওই বাৎসরিক উৎসবের যোগদান করতেন। চারিদিকের পরিবেশে ছিল খুবই শান্ত এবং সুমধুর যেখানে কোনরকম হিংসা বা ভেদাভেদ ছিল না।
মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তিনি কিন্তু রামায়ণ, মহাভারতের কাহিনী শুনেছিলেন। তিনি ভর্তি হলেন রামেশ্বরম এলিমেন্টারি স্কুলে। তার পাশাপাশি অনেক ব্রাহ্মণ পুত্রও সেখানে পড়াশোনা করতেন। একই টিফিন বক্সে তারা টিফিন ভাগাভাগি করে খেয়েছেন।
তবে সমাজে খারাপ মানুষের অভাব কখনোই ছিল না, সেই কারণে এমন একটি দিন এসেছিল যেদিন আব্দুল কালামকে খুবই অপমানিত করা হয়েছিল। তখন তিনি ক্লাস ফাইভ অর্থাৎ পঞ্চম শ্রেণীতে পড়েন, তিনি মাথায় টুপি পরতেন।
তিনি পড়াশোনায় সবসময় ভালো ছিলেন বলে প্রথম বেঞ্চে বসতেন, কিন্তু একদিন শিক্ষক মহাশয় তাকে প্রথম বেঞ্চ থেকে সরিয়ে লাস্টের বেঞ্চে বসতে বলেন। এই অপমান আব্দুল কালাম অনেকদিন মনে রেখেছিলেন এবং কোন মতেই এই অপমান মেনে নিতে পারেননি। তবে অবশ্য পরবর্তীকালে সেই মাস্টারমশাই তার ভুল বুঝতে পেরেছিলেন এবং তাকে আবার প্রথম বেঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন।
স্কুল জীবনে শিক্ষকের একটি কথা এপিজে আব্দুল কালামকে খুবই অনুপ্রাণিত করেছিল। সেই শিক্ষক মহাশয় পড়াতে পড়াতে প্রায়ই বলতেন যে, “বিশ্বাসের জোরে তুমি ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে।” সেই কথার উপরে ভিত্তি করে তিনি অনেক অসম্ভবকেও সম্ভব করে ফেলেছেন, একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করেও তিনি আজ সকলের মনে বিরাজ করছেন।
ছোটবেলা থেকেই আব্দুল কালাম ছিলেন বিজ্ঞানের একজন অসাধারণ প্রভাবশালী ছাত্র। স্কুলের পরীক্ষাতে তিনি সবসময় খুবই ভালো নম্বর পেয়ে কৃতিত্বের সাথে পাশ করতেন। তার কর্ম জীবনটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ১৯৫০ সালে সেন্ট জোসেফ কলেজে ভর্তি হলেন আব্দুল কালাম, ইন্টারমিডিয়েট কোর্সে সেন্ট জোসেফ কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্নাতক হওয়ার পর মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ভর্তি হয়েছেন, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার জন্য।
এপিজে আব্দুল কালাম যেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, তো বিজ্ঞান হিসেবে যোগ দিয়েছেন ভারতের ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) ১৯৬০ সালে। কেরিয়ার শুরু হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর ছোট মাপের একটি হেলিকপ্টারের নকশা তৈরি করার মধ্য দিয়ে। কিন্তু তিনি দ্রুতই অগ্রসর হতে থাকেন। ভারতের মহাকাশ গবেষণার সংস্থা ইসরো এর সঙ্গে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন।
দেশীয় প্রযুক্তিতে উন্নত মানের সামরিক মিসাইল তৈরির প্রকল্প ে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হলেন তিনি। মহাকাশযান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস এল ভি (PSLV) এবং এস এল ভি থ্রির (SLV 3) রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান ছিল এই ভারতের মিসাইল ম্যান এপিজে আব্দুল কালামের।
পরমাণু শক্তি সম্পন্ন দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য তার অবদান আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না। ১৯৯৮ সালে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা সংক্রান্ত পোখরান – ২ প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ও তিনিই ছিলেন। এছাড়া নিজের যোগ্যতা দিয়ে দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিতও করেছিলেন।
রাজনীতির মধ্যে প্রবেশ করা, রাষ্ট্রপতির পদে দাঁড়ানো এবং সেই পদে নির্বাচিত হওয়া, রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিভিন্ন বিতর্কমূলক কাজে জড়িয়ে পড়া, নিজেকে রাজনৈতিক দলাদলির ঊর্ধ্বে রাখা, এমন অনেক আদর্শ স্থানীয় কাজ করে আজ এপিজে আব্দুল কালাম আমাদের কাছে একজন মহান মানুষে পরিণত হয়েছেন। তার অনেক অনুপ্রেরণামূলক বাণী আমাদেরকে উৎসাহিত করে, শরীর ে শিহরণ জাগায়।
বিভিন্ন জায়গায় তিনি ভাষণ দিয়েছেন। সেখানে স্কুল ছাত্র ছাত্রী থেকে আরও অনেকেই তাঁকে অনেক প্রশ্ন করেছেন। তিনি হাসিমুখে, মিষ্টি ভাবে সেইসব প্রশ্নের সুন্দর করে ব্যাখ্যা দিয়ে উত্তরও দিয়েছেন। যেগুলি শুনে সকলের মন প্রাণ জুড়িয়ে গিয়েছে। তিনি যেখানেই যেতেন সেখানেই তার শিক্ষাসুলভ আচরণ, দার্শনিকতার প্রকাশ করতেন, যার ফলে অনেকেই তাকে ভীষণভাবে শ্রদ্ধা করতেন।
এত কিছুর পরেও তিনি জীবন যাপন করতেন খুবই সাধারণ ভাবে। তাকে আমরা একজন ভারতীয় ঋষির সঙ্গে তুলনা করতেই পারি। আজীবন ব্রহ্মচারীর মতোই জীবন কাটিয়েছেন। ভারতীয় সংস্কৃতির ইতিহাসে এপিজে আব্দুল কালাম কে একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব হিসেবে আমরা অবশ্যই চিহ্নিত করতেই পারি।
এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী হিসেবে, ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় তার আত্মজীবনী “উইঙ্গস অফ ফায়ার।” এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় উল্লিখিত রয়েছে মানবকল্যাণে উৎস, প্রাণ, এই মহান বিজ্ঞানীর অন্তরের সমস্ত ইচ্ছা।
তিনি এতটাই শান্ত স্বভাবের ছিলেন এবং তার মুখ থেকে বলা কথাগুলি এতটাই অমূল্য ছিল যে সমস্ত দিক থেকে ধ্যান সরে গিয়ে শুধু তার কথাই শুনতে মন চাইবে।
২০০২ সালে ভারতের একাদশ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন এপিজে আব্দুল কালাম। ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন, আর খুবই দায়িত্বের সাথে এই রাষ্ট্রপতি পদ কে সামলেছেন। পরবর্তীতে এপিজে আব্দুল কালাম শিলং আই আই এম (IIM) এ ভিজিটিং প্রফেসর হন।
এমন একটি মহান ব্যক্তি যে সমস্ত সম্মানে ভূষিত হয়েছেন, সেগুলি নিচে দেওয়া হল:-
তার মৃত্যুতে সমস্ত দেশবাসী একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। ২৭ জুলাই ২০১৫ ভারতের পরমাণু গবেষণার পথিকৃৎ তথা দেশের মিসাইল ম্যান, ভারতের একাদশ তম প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম ৮৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, ২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যের সাড়ে ছটায় শিলং এর আইআইএম (IIM) এর একটি অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন, সেখানেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঞ্চের উপরে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান, তড়িঘড়ি তাঁকে কাছাকাছি স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়, তবে শেষ রক্ষা হয়নি, সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী জানার পর কোন মানুষ যে অনুপ্রাণিত হবেন না, তা হতেই পারে না, তাই নয় কি ! তো চলুন তাহলে আব্দুল কালাম সম্পর্কিত কিছু আকর্ষণীয় তথ্য সম্পর্কে জানা যাক:
এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষার্থীদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় হয়েছিলেন। ২০১০ সালের সেই কারণে জাতিসংঘ এর তরফ থেকে এপিজে আব্দুল কালামের জন্মদিন ১৫ অক্টোবর এ বিশ্ব ছাত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী উইংস অফ ফায়ার প্রথম দিকে ইংরেজিতে প্রকাশিত হয়েছিল।
কিন্তু পরে তা ফরাসি এবং চীনা ভাষা সহ আরো মোট ১৩ টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। এপিজে আব্দুল কালামের সব থেকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিসটি সবাইকে মুগ্ধ করেছিল সেটা হল, তিনি শুধুমাত্র পুস্তক অথবা বই ছাড়া কারো কাছ থেকে কোন রকম উপহার গ্রহণ করেন নি।
তিনি মনে করতেন একটি সুন্দর বইয়ের থেকে বড় উপহার পৃথিবীতে আর কিছু হতেই পারে না। ২০১১ সালে নীলা মাধব পান্ডা আব্দুল কালামের জীবন ভিত্তিক একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছিলেন, যার শিরোনাম ছিল আই এম কালাম (I am Kalam)। এপিজে আব্দুল কালামের পদার্থ এবং গণিত বিজ্ঞান ছিল খুবই প্রিয় বিষয়।
তাছাড়া তিনি দেশের মধ্যে এবং দেশের বাইরে বক্তৃতা রাখার জন্য কোনরকম ফি নেন নি। এপিজে আব্দুল কালাম তিনি ছিলেন একজন নিরামিষ ভোজী ব্যাক্তি। তিনি বিজ্ঞানের সাথে সাথে সাহিত্যের প্রতি গভীর আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তার ফলস্বরূপ তিনি তার মাতৃভাষা তামিলে অনেকগুলি কবিতাও রচনা করেছিলেন।
বর্তমানে এই মহান ব্যক্তিটি আমাদের মাঝে আর বেঁচে নেই, তবে তিনি আমাদের জন্য অনেক কিছুই উপহার দিয়ে গেছেন। তার সাথে সাথে তার লেখা এই বইগুলি আমাদেরকে অনেকখানি অনুপ্রেরণা যোগায়, একটি জীবনী সহ একাধিক নির্দেশমূলক এবং অনুপ্রেরণামূলক বইগুলি সম্পর্কে জানা যাক:
সফলতার দিক থেকে দেখতে গেলে তিনি একটি কথা বলে গিয়েছেন যে কথাটি আজও অনেক সফল মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে – “স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা তুমি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখো, স্বপ্ন হলো সেটা যেটা তোমাকে ঘুমাতে দেয় না।”
এপিজে আব্দুল কালাম যে একজন প্রতিভাশালী ব্যক্তি ছিলেন সেটা আর নতুন করে বলার কিছু নেই। তার জীবনের সাথে অনেক কিছু পজিটিভ চিন্তাভাবনা জড়িয়ে ছিল।
শান্ত – সুমধুর – স্নিগ্ধ মুখ, চুলগুলি চোখের দুপাশে পড়ে থাকা সেই বুদ্ধ িদীপ্ত মুখটা আজও চোখের সামনে ভেসে থাকে। তরুন সমাজকে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে কোন সফলতা পেতে গেলে কোন অজুহাত না দেখিয়ে পরি শ্রম , আগ্রহ আর স্বপ্ন থাকলেই সেটা সফল করা সম্ভব হয়। তিনি আজ আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই ঠিকই, কিন্তু আমাদের সকলের মনের মনিকোঠায় তিনি আজও জীবিত।
চিরদিন তাকে এভাবেই দেশবাসীর মনে থাকেবেন, দেশের বাইরেও তিনি তার প্রতিভার আলো জ্বালিয়ে গেছেন। আজও আমরা তাকে অনুভব করতে পারি তার বক্তৃতা এবং উক্তির মধ্যে দিয়ে। আপনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন, আমাদের সকলের পক্ষ থেকে আপনাকে সশ্রদ্ধ প্রণাম।
Leave a comment cancel reply.
Your email address will not be published. Required fields are marked *
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Apj Abdul Kalam Biography in Bengali – এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মিসাইল টেকনোলজি বিশেষ অবদানের কারনে তালে মিসাইল ম্যান এর উপাধি দেওয়া হয়। কিভাবে তিনি দারিদ্রতার মধ্যে থেকে প্রথমে বিজ্ঞানী ও তার পর রাষ্ট্রপতি হয় তা সমস্ত যুব সমাজকে এক অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। আজ আমরা সেই মহান ব্যক্তি ও বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী (biography of abdul kalam bangla) সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে পড়বো।
আব্দুল কালাম এর সম্পূর্ণ নাম | আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম |
জন্ম | ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, রামেশ্বরম, তামিলনাড়ু |
পিতা ও মাতা | জয়নুলআবেদিন মারাকায়ার (পিতা) অশিয়াম্মা (মাতা ) |
জীবিকা ও কর্মক্ষেত্র | বৈজ্ঞানিক, বিমান প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষক, লেখক |
এপিজে আবদুল কালাম রাষ্ট্রপতি সময়কাল | ২৫ জুলাই ২০০২ থেকে ২৫ জুলাই ২০০৭ |
উল্লেখযোগ্য উপাধি ও সম্মান | মিসাইল ম্যান, ভারতরত্ন, পদ্মভূষণ |
[এপিজে আব্দুল সম্পর্কে এই লেখাটি আপনার এই সমস্ত প্রশ্নের জন্য ব্যবহার করতে পারেন – আব্দুল কালামের জীবনী , Essay on Apj Abdul Kalam in Bengali language, এপিজে আব্দুল কালামের প্রবন্ধ রচনা, Biography of Apj Abdul Kalam in Bengali, এপিজে আব্দুল কালামের আত্মজীবনী, Apj Abdul Kalam Paragraph in Bengali, এপিজে আব্দুল কালামের সংক্ষিপ্ত জীবনী]
এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্গত যা বর্তমানে তামিলনাড়ু রাজ্যের অন্তর্গত রামেশ্বরমমে মধ্যবিত্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করে।
কালামের পিতার নাম ছিল জৈনুলাবুদ্দিন এবং মাতা হলেন অশিয়াম্মা। তার পিতা মাছ চাষের নৌকা ভাড়া দেওয়া কাজ করতো। তার মাতা ছিলেন একজন গৃহবধূ। এছাড়া আব্দুল কালামের দুটি ভাই ও একটি বোন ছিল তাদের মধ্যে আব্দুল কালাম ছিল সবথেকে ছোট।
এপিজে আব্দুল কালামের প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা তামিলনাড়ুর রামেশ্বরম থেকে আরম্ভ হয়। আব্দুল কালামের পরিবার খুব একটা ধনীনা হওয়ার কারনে তার ছেলে বেলা দারিদ্রের মধ্যে যাই। এপিজে আব্দুল কালামের পিতে ছিলেন একজন নাবিক, তার পিতাকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে ছোটবেলা থকেই আব্দুল কালাম স্কুল শেষে হাউয়ার পর খাবারের কাগজ বিতরণের কাজ করতো,এবং তার থকে যা আয় হতো ত দিয়ে সে তার স্কুল এর ফিস দিত।
এপিজে আব্দুল কালাম অনুশাসন, শিষ্টাচার ও উদারতা শিক্ষাটি ছোটবেলায় তার পিতার কাছ থেকে পাই। তার পিতা তাকে বলতো যে যদি কখনো জিবনে কঠিন সমায় আসে তখন আমরা যাতে নিরাশ হয়ে বসে না থাকি কারণ কঠিন সময় আমাদেরকে আমাদের আসল শক্তির সাথে পরিচয় করাতে সাহায্য করে। এপিজে আব্দুল কালাম তার পিতার সমস্ত উপদেশ গুলি খুব মন দিয়ে শুনতো।
এপিজে আব্দুল কালাম ছেলেবেলায় থেকেই একজন মেধাবী ছাত্র ছিলেন। ছোটবেলা থেকে তার পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ খুব গভীর ছিল সেই কারণে তিনি খুব মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে ভালোবাসতেন।
আব্দুল কালামের তার প্রাথমিক শিক্ষা ও স্কুল জীবন তিনি রমনাথপুরম শোয়ার্জ ম্যাট্রিকুলেশন স্কুল থেকে সম্পন্ন করেন ও পরে তিনি ১৯৫৪ সালে তিরুচিরাপল্লী সেন্ট জোসেফ কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয় ও সেখান থেকে তিনি পদার্থবিজ্ঞানের স্নাতক পাশ করে বেরিয়ে আসেন।
তারপর তিনি তার উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজ এ চলে আসেন, এবং সেখানকার মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি তে এ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়াশোনা শুরু করেন। সেইখানে তার তৃতীয় বছর চলাকালীন তাকে কয়েকজন আরও শিক্ষার্থীর সাথে একটি নিম্ন স্তরের আক্রমণ বিমানের নকশা করার একটি প্রজেক্ট দেওয়া হয় যা তারা খুব ভালোভাবে সেটিকে তৈরি করে। পরবর্তীকালে ১৯৬০ সালে আব্দুল কালাম মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ভালো নম্বর নিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে তার পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।
মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে তিনি তার পড়াশোনা সম্পন্ন করার পরে এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম তিনি তিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) তে টেকনিক্যাল সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন।
সেই সংস্থায় কর্মরত থাকা কালীন তিনি তার কর্মজীবনের শুরুতে ভারতীয় সেনার জন্য হোভার এয়ারকারফ একটি নকশা তৈরি করেন। DRDO তে কর্মরত থাকা কালীন Prototype Hovercraft এর জন্য তৈরি একদল ইঞ্জিনিয়ার এর নেতৃত্ব করেন।
১৯৬২ সালে আব্দুল কালাম ভারতীয় রক্ষা সংস্থায়টি (DRDO) থেকে বদলি হয়ে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগদান করেন। সেখানে তিনি প্রথমে মহান মহাকাশ বিজ্ঞানী ডক্টর বিক্রম সরভাইয়ের নেতৃত্বে কাজ করেন এবং পরবর্তীকালে বড়ো পদে উন্নতি লাভ করেন।
১৯৬৯ সালে এপিজে আব্দুল কালাম ISRO দ্বারা নির্মিত ভারতের প্রথম SLV -৩ (রোহিণী) এর জন্য তাকে প্রজেক্ট হেড করা হয়।
তার নেতৃত্বে ১৯৮০ সালে ভারত প্রথম তার SLV (রোহিণী) কে পৃথিবীর নিকটতম কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগ দেওয়ার পর থেকে এপিজে আব্দুল কালামের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, তখন তিনি অনুভব করেছিলেন যেন তিনি যেমন ভেবেছিলেন ঠিক তেমন কাজ করার সৌভাগ্য পেয়েছেন ।
১৯৮২ সালে, তিনি আবার প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থায় (DRDO) পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এপিজে আব্দুল কালামের নেতৃত্বে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম সফলভাবে চালু হয়েছিল, তিনি এই প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। সেই প্রজেক্ট এর জন্য ভারত অগ্নি ও পৃথিবী মিসাইল পাই।
১৯৯২ সালে, এপিজে আব্দুল কালাম তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সেক্রেটারি বিভাগের সচিব হন। তিনি ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কাজ চালিয়ে যান।
মহাকাশ বিজ্ঞানে ও ভারতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাই এই অবদানের জন্য তাকে ভারতের সবথেকে সন্মানীয় পুরস্কার “ভারতরত্ন” দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
এপিজে আব্দুল কালাম বৈজ্ঞানিক হিসেবে অধিক নাম ও খ্যাতির কারণে, তাকে ২০০২ সালে তৎকালীন ভারতের কেন্দ্রের (NDA) সরকারের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতি জন্য তার নাম মনোনীত করা হয়। এবং তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লক্ষ্মী শেগলকে কে বিপুল ভোটে পরাজিত করে।
২৫ জুলাই ২০০২ সালে তিনি ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি ভারতের এমন তৃতীয় রাষ্ট্রপতি ছিলেন, যিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার পূর্বে ভারতের সম্মানিত পুরষ্কার “ভারতরত্ন” দ্বারা ভূষিত হন। এর আগে ডাঃ রাধাকৃষ্ণান ও জাকির হুসেন রাষ্টপাতি হওয়ার পূর্বেই “ভারতরত্ন” পুরস্কারটি পেয়েছিলন।
তিনি বৈজ্ঞানিক হিসেবে তো জনপ্রিয় ছিলেন কিন্তু তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হলে ওঠে, তাকে “জনতার রাষ্ট্রপতি” হিসেবে অভিহিত করা হত।
কিভাবে তিনি একটি ছোট শহরে জন্মগ্রহন করে, প্রথমে বৈজ্ঞানিক ও পরে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত না থাকা সত্ত্বেও কিভাবে তিনি রাষ্ট্রপতি পদ পর্যন্ত তার যাত্রা করেন, তা প্রতিটি যুবককে অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে।
দ্বাদশ রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাটেলের মেয়াদ শেষে পরবর্তী সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি হিসাবে তার নাম আবারও আলোচনায় ছিল, তবে অনেক কম সমর্থনের অভাবের কারণে তিনি তার প্রার্থিতার ধারণা ত্যাগ করেছিলেন।
রাষ্ট্রপতি পদ থেকে অবসর গ্রহণের পরে ডাঃ এপিজে আব্দুল কালাম শিক্ষকতা, লেখালেখি, বিজ্ঞান এবং গবেষণার মতো কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স ব্যাঙ্গালোরের ফেলো, ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটের চ্যান্সেলর, চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় তিরুবনন্তপুরম, এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং এর অধ্যাপক হন এপিজে আব্দুল কালাম।
এপিজে আব্দুল কালাম সর্বদা দেশের যুবকদের উন্নতির জন্য বিভিন্ন মঞ্চে মোটিভেশন বক্তব্য রাখেন। দেশের যুব সমাজের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা বিবেচনা করে তিনি 2 বার এবং ‘এম.টি.ভি. ‘যুব আইকন অফ দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড’ এর জন্য মনোনীত হয়েছিল। এছাড়া তাকে দেশের অনেক কলেজে ভিজিটিং প্রফেসর হিসাবে ডাকা হয়েছিল।
এতক্ষন এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী পরে আপনি নিশ্চই অনুপ্রাণিত হয়েছেন। তবে আসুন এইবার আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু আকর্ষনীয় তথ্যের ব্যাপারে জানি –
এপিজে আব্দুল কালাম তার জীবনকালে একাধিক পুস্তক রচনা করেন। একটি জীবনী সহ একাধিক নির্দেশমূলক ও অনুপ্রেরণামূলক বইয়ের লেখক তিনি। ডাঃ এ.পি.জে. আবদুল কালামের লেখা শীর্ষস্থানীয় পুস্তক গুলি হল –
আলবার্ট আইনস্টাইনের বাণী ও উক্তি
[ আরো পড়ুন – এপিজে আব্দুল কালামের উক্তি ও বাণী ]
মহাকাশ বিজ্ঞান ও ভারতীয় সুরক্ষা বেবস্থায় তার অতুলনীয় কাজকর্মের জন্য তাকে ভারতে ও দেশ-বিদেশ থেকে একধিক পুরুস্কার ও উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হয়। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য সম্মান গুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল –
স্বামী বিবেকানন্দের ছেলেবেলা ও তার শৈশবকালের কিছু মজার গল্প.
বাংলায় সম্পূর্ণ কেরিয়ার গাইড!
এ.পি.জে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) “ভারতের মিশাইল ম্যান (Missile Man of India)” হিসাবে পরিচিত । আমরা সকলেই তাঁর কথা শুনেছি। তিনি ভারতবর্ষের একাদশতম রাষ্ট্রপতি (President) ছিলেন।
কিন্তু এটা কি জানা আছে, যে তিনি এক সময় নিউজপেপার বা সংবাদপত্র বিতরণ করতেন এবং মাত্র 15 বছর বয়সে তাঁকে নিউজপেপার বিতরণ করে সংসার চালাতে হত।
এ.পি.জে আবদুল কালাম
তাঁর পুরো নাম আভুল পাকির জয়নুলাবেদিন আবদুল কালাম। তিনি ভারতের তামিলনাড়ুর একটি ছোট শহর রামেশ্বরমে, 1931 সালে 15ই অক্টোবর একটি নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
ছোটোবেলায় এ.পি.জে আবদুল কালামকে প্রধান যে সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তা হল দারিদ্র্য। তাঁর বাবা জয়নুলাবদিন ছিলেন একজন নৌকার মালিক এবং তাঁর মা আশিয়াম্মা একজন সাধারণ গৃহিণী ছিলেন।
আবদুল কালাম ছিলেন একজন পরিশ্রমী এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছাত্র। শেখার প্রতি তাঁর গভীর আবেগ এবং চারপাশের জগৎ সম্পর্কে কৌতূহল তাঁকে শিশুকাল থেকেই সবার মাঝে আলাদা করে তুলে ছিল। তাঁর এই বিরল প্রতিভার জন্য তিনি শিশু বয়স থেকেই স্কলারশিপ (Scholarship) পেতেন।
কিন্তু জীবন তাঁর এত সহজভাবে এগোয়নি। মাত্র 15 বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবাকে হারান। তাঁর বাবার এই আকস্মিক মৃত্যু, তাঁদের পরিবারকে একটি কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। তাঁকে কিশোর বয়স থেকেই জীবনের কঠিন লড়াই সামলাতে হয়েছিল। পরিবার এবং নিজের পড়াশোনার তাগিদে তাই প্রতিদিন বাড়ি বাড়ি সংবাদপত্র বিতরণ করতেন এ.পি.জে আবদুল কালাম।
এই ভয়ঙ্কর কঠিন পরিস্থিতিতেও তিনি কখনোই তাঁর স্বপ্ন ছেড়ে দেননি, তাঁর অসীম ইচ্ছাশক্তির হাত ধরে তিনি চালিয়ে গেছেন তাঁর পড়াশোনা। এই ভাবেই 1954 সালে তিনি পদার্থবিদ্যায় সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর তিনি 1960 সালে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে বিমানপ্রযুক্তি অর্থাৎ অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ডিগ্রি অর্জন করেন। কলেজের শুরুর জীবন থেকে একাধিক সংগ্রাম তাঁর চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি সহজেই কাটিয়ে উঠেছিলেন। অ্যারোনটিক্স এবং স্পেস সায়েন্সের প্রতি তাঁর এই ব্যাপক আগ্রহ পরবর্তীকালে তাঁকে ভারত তথা গোটা বিশ্বের একজন বিখ্যাত বিজ্ঞানী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিল।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনে (DRDO) বিজ্ঞানী হিসেবে এ.পি.জে আবদুল কালাম তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। ভারতের প্রতিরক্ষা (Defense) এবং মিশাইল প্রোগ্রামে এ.পি.জে আবদুল কালামের অবদান চিরস্মরণীয়। তাঁর কর্মজীবনের অন্যতম সেরা কাজ অগ্নি (Agni) এবং পৃথ্বী (Prithvi) (ব্যালিস্টিক মিশাইল) এর উদ্ভাবন।
অসংখ্য প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, তিনি কঠিন পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী চিন্তাশক্তির মাধ্যমে ভারতের মিশাইল টেকনোলজির উন্নতি করেছিলেন।
এ.পি.জে আবদুল কালামের নিষ্ঠা এবং প্রতিভা তৎকালীন সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তাই 1992 সালে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রীর প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা (Chief Scientific Advisor) হিসাবে নির্বাচিত হন।
2002 সালে ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি হিসাবে নিযুক্ত হন এ.পি.জে আবদুল কালাম। 2002 থেকে 2007 সাল পর্যন্ত অত্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ততার সাথে তিনি এই দায়িত্ব পালন করেছেন। রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন, তিনি শিক্ষা প্রচারের দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন, বিশেষত ভারতবর্ষের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির উন্নয়নে শিক্ষার প্রসার ঘটানোর প্রচেষ্টা করেছিলেন।
তিনি বিশ্বাস করতেন যে, “একমাত্র শিক্ষাই ব্যক্তির ক্ষমতায়ন এবং সামগ্রিকভাবে জাতিকে উন্নত করার চাবিকাঠি।”
রাষ্ট্রপতির কার্যকাল শেষ হবার পর তিনি বিভিন্ন ইনস্টিটিউট এবং কলেজে অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি প্রায়শই স্কুল এবং কলেজে বক্তব্য রাখতেন, তরুণ মনকে তাদের স্বপ্ন অনুসরণ করতে এবং সমাজে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করতেন।
2015 খ্রিষ্টাব্দের 27শে জুলাই, মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে “বসবাসযোগ্য পৃথিবী” বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে এই মহান নক্ষত্রের পতন ঘটে। এই মহান কর্মপ্রিয় মানুষটির ইচ্ছা অনুযায়ী বিধাতাও যেন, কর্মের মধ্যেই (বক্তৃতা চলাকালীন) তাঁকে বিলীন করে দিলেন।
“Dream is not that which you see while sleeping, it is something that does not let you sleep.”
পর্ব সমাপ্ত!
বিশেষ দ্রষ্টব্য
Related post, এক রূপকথার বাস্তব নায়ক – নীরজ চোপড়া | অনুপ্রেরণামূলক জীবনী, 10 হাজার থেকে 1 লক্ষ কোটি | ইনফোসিসের গল্প | নারায়ণ মূর্তির অনুপ্রেরণামূলক জীবনী, মহেন্দ্র সিং ধোনির ক্রিকেটার তথা ‘ক্যাপ্টেন কুল’ হয়ে ওঠার গল্প | অনুপ্রেরণামুলক জীবনী | ms dhoni’s biography.
What organizations was a.p.j. abdul kalam associated with, when and how did a.p.j. abdul kalam enter politics.
Our editors will review what you’ve submitted and determine whether to revise the article.
A.P.J. Abdul Kalam served as president of the Republic of India from 2002 to 2007. As president, Kalam promoted the advancement of the national nuclear weapons program. Kalam also devised a 20-year action plan to achieve economic growth through technological development in India.
A.P.J. Abdul Kalam attended the Madras Institute of Technology, where he received a degree in aeronautical engineering in 1960. After graduation he joined the Defence Research and Development Organisation (DRDO)—an Indian military research institute—and later the Indian Space Research Organisation (ISRO). Kalam’s associations were not limited to research organizations: he was also associated with political groups, such as the National Democratic Alliance (NDA).
A.P.J. Abdul Kalam created the Technology Vision 2020 project in 1998. The project sought to develop India’s economy through technology, particularly as applied to agriculture, and increase the availability of health care and education. In recognition of Kalam’s services to the country and broad popularity, the National Democratic Alliance nominated him for president in 2002.
A.P.J. Abdul Kalam won many awards, both from the Indian government and from the international community. His most notable awards were the Padma Vibhushan, won in 1990, and the Bharat Ratna, won in 1997, for his contributions to science and engineering and service to the government.
Trusted Britannica articles, summarized using artificial intelligence, to provide a quicker and simpler reading experience. This is a beta feature. Please verify important information in our full article.
A.P.J. Abdul Kalam (born October 15, 1931, Rameswaram , India—died July 27, 2015, Shillong) was an Indian scientist and politician who played a leading role in the development of India’s missile and nuclear weapons programs. He was president of India from 2002 to 2007.
Kalam earned a degree in aeronautical engineering from the Madras Institute of Technology and in 1958 joined the Defence Research and Development Organisation (DRDO). In 1969 he moved to the Indian Space Research Organisation , where he was project director of the SLV-III , the first satellite launch vehicle that was both designed and produced in India. Rejoining DRDO in 1982, Kalam planned the program that produced a number of successful missiles, which helped earn him the nickname “Missile Man.” Among those successes was Agni, India’s first intermediate-range ballistic missile , which incorporated aspects of the SLV-III and was launched in 1989.
From 1992 to 1997 Kalam was scientific adviser to the defense minister, and he later served as principal scientific adviser (1999–2001) to the government with the rank of cabinet minister. His prominent role in the country’s 1998 nuclear weapons tests solidified India as a nuclear power and established Kalam as a national hero, although the tests caused great concern in the international community . In 1998 Kalam put forward a countrywide plan called Technology Vision 2020, which he described as a road map for transforming India from a less-developed to a developed society in 20 years. The plan called for, among other measures, increasing agricultural productivity, emphasizing technology as a vehicle for economic growth , and widening access to health care and education.
In 2002 India’s ruling National Democratic Alliance (NDA) put forward Kalam to succeed outgoing President Kocheril Raman Narayanan . Kalam was nominated by the Hindu nationalist ( Hindutva ) NDA even though he was Muslim, and his stature and popular appeal were such that even the main opposition party, the Indian National Congress , also proposed his candidacy. Kalam easily won the election and was sworn in as India’s 11th president , a largely ceremonial post, in July 2002. He left office at the end of his term in 2007 and was succeeded by Pratibha Patil , the country’s first woman president.
Upon returning to civilian life, Kalam remained committed to using science and technology to transform India into a developed country and served as a lecturer at several universities. On July 27, 2015, he collapsed while delivering a lecture at the Indian Institute of Management Shillong and was pronounced dead from cardiac arrest soon afterward.
Kalam wrote several books, including an autobiography, Wings of Fire (1999). Among his numerous awards were two of the country’s highest honors, the Padma Vibhushan (1990) and the Bharat Ratna (1997).
APJ Abdul Kalam bani in Bengali এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি
নাম | আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম |
জন্ম | ১৫ অক্টোবর ১৯৩১ রামেশ্বরম, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ২৭ জুলাই ২০১৫ (বয়স ৮৩) শিলং, মেঘালয়, ভারত |
মৃত্যুর কারণ | হৃদরোগ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
ধর্ম | ইসলাম |
পেশা | শিক্ষক, বিজ্ঞানী |
গুরুত্বপূর্ণ পদ | ভারতের রাষ্ট্রপতি |
রাষ্ট্রপতি সময়কাল | ২৫ জুলাই, ২০০২ – ২৫ জুলাই, ২০০৭ |
পরিচিতি | Missile Man of India, Ex President of India, Bharat Ratna |
জীবনে চলার পথে অনেক সময় আমরা আমাদের অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলি। তখন আমরা বুজতে পারিনা এই কঠিন সময়ে আমাদের ঠিক কি করা উচিত।
এই রকম কঠিন সময়ে মহাত্মা গান্ধী , স্বামী বিবেকানন্দ , ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর , এ পি জে আব্দুল কালাম, সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন , নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর মতো মহান মানুষের বলে যাওয়া অনুপ্রেরণামূলক কথাগুলো পুনরায় আমাদের হারিয়ে যাওয়া Motivation ফিরে পেতে সাহায্য করে।
তাই আজ আমরা ডঃ আব্দুল কালাম ও তাঁর ৫১ টি বাছাই করা অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কে জানব।
Click Here To Download Image
আব্দুল কালামের ছিলেন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি যিনি একজন বিজ্ঞানীও ছিলেন। তিনি স্বাধীন ভারতের একাদশতম রাষ্ট্রপতি যিনি ধর্মনিপেক্ষভাবে নির্বাচিত হন।
ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে তিনি জন্ম গ্রহণ করেন।
ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থা ইসরো তে তিনি একজন বিজ্ঞানী হিসাবে কাজ করেন। মহাকাশযানবাহী রকেট এবং বালিস্টিক মিসাইলের উপর অবদানের জন্য তাঁকে ভারতের Missile Man বলা হয়।
51+ Motivational APJ Abdul Kalam Bani in Bengali
1. “সফলতার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়, তা হতে পারে Mount Evarest এর শীর্ষ বা Career.”
2. “জীবন একটি কঠিন খেলা। মানুষ হিসাবে আপনার জন্ম অধিকার বজায় রেখে আপনিএই খেলা জিততেপারবেন।”
3. “কৃত্তিম সুখের পরিবর্তে নিরেট উপলব্ধির উপর সমর্পিত হন।”
4.” আমি এই কথাটা স্বীকার করতে রাজি যে আমি কিছু বিষয় পরিবর্তন করতে পারব না।”
5. “যারা মহান স্বপ্ন দেখে তাদের মহান স্বপ্ন অবশ্যই পূরণ হয়।”
6. “আমরা কি এটা জানিনা যে আত্মসম্মান আত্মনির্ভরতার সাথে আসে?”
7. “যদি আমরা স্বাধীন না হয়, তবে কেউ আমাদের সম্মান করবেনা।”
8. “ভারতে আমরা কেবল মাত্র মৃত্যু, রোগ ও সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কেপড়ি।”
9. “আসুন আজ আমরা বলিদান দিই যাতে কাল আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ভালো হয়।”
এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি
10. “আকাশের দিকেতাকান। আমরা একলানয়। সমস্ত ব্রহ্মান্ড আমাদের জন্য অনুকূল এবং যে স্বপ্ন দেখে এবং পরিশ্রম করে তাকে তার প্রতিদান দেওয়ার জন্য ষড়যন্ত্রকরে।”
11. “মানুষের কখনও কখনও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া উচিত কারণ তা সফলতার আনন্দ নেবার জন্যজরুরি।”
12. “কোনো ধর্মেই তার অস্তিত্ব বজায় রাখা ও বৃদ্ধি করার জন্য অন্যদের হত্যা অনিবার্যতা বলা হয়নি।”
আরও পড়ুন: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১২০ টি বিখ্যাত উক্তি
13. “আমাকে বলুন, এখানকার মিডিয়া এত নেতিবাচক কেন? ভারতে আমরা কেন আমাদের সাফল্য এবং কৃতিত্ব প্রদর্শন করতে লজ্জাপায়। আমরা একটি মহানরাষ্ট্র। আমাদের কাছে অনেক সফলতার কাহিনী আছে, কিন্তু আমরা স্বীকার করিনা।কেন?”
14. “নিজের লক্ষ্যে সফল হওয়ার জন্য, আপনাকে আপনার লক্ষের প্রতি নিষ্ঠাবানহতেহবে।”
15. “আপনার স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগে আপনাকে স্বপ্ন দেখতে হব।” – APJ Abdul Kalam
16. “লক্ষ্য অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই থামিও না – এটাই অদ্বিতীয় তুমি। জীবনে একটা লক্ষ্য তৈরী করো, নিয়মিত জ্ঞান অর্জন করো, কঠিন পরিশ্রম করো এবং মহান লক্ষ্য প্রাপ্ত করার জন্য তৈরী থেকো।”
17. “ঈশ্বর, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের মস্তিস্ক এবং ব্যাক্তিত্যে অপরিসীম ক্ষমতা এবং শক্তি দিয়েছেন। ঈশ্বরের প্রার্থনা আমাদের সেই শক্তি বিকশিত করতে সাহায্য করবে।”
18. “যদি কোনো দেশ কে দুর্নীতি মুক্ত এবং মানুষের মনকে সুন্দর করতে হয়, তবে তা কেবলমাত্র তিন জন করতে পারে – পিতা, মাতা, এবং গুরু।”
19. “শ্রেষ্ঠত্ব একটি চলমানপ্রক্রিয়া, কোনো দুর্ঘটনা নয়।” – APJ Abdul Kalam
20. “সূর্যের মতো উজ্জ্বল হতে হলে প্রথমে তোমাকে সূর্যের মতো পুড়তে হবে।”
21. “শিক্ষন একটি মহান পেশা, যা কোনো ব্যক্তির চরিত্র, ক্ষমতা এবং ভবিষৎ কে আকার দেয়। যদি মানুষ আমাকে একজন ভালো শিক্ষক রূপে মনে রাখে তবে তা আমার জন্যসব থেকে সম্মানজনকহবে।”
22. আমাদের কখনই হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত নয় আর সমস্যাকে কখনই আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে দেওয়া উচিৎ নয়।
We should not give up and we should not allow the problem to defeat us. – APJ Abdul Kalam
23. “প্রকৃত শিক্ষা একজন মানুষের গৌরব বৃদ্ধি করে এবং আত্মসম্মান বাড়ায়। যদি প্রতিটি মানুষ শিক্ষার বাস্তবিক অর্থ বুঝে নেয় এবং তা মানব উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করে, তবে এই দুনিয়া বসবাসের জন্য আরও ভালো স্থানে পরিণত হবে।”
24. “যখন একটি শিশুর বয়স 15, 16 বা 17 হয় তখন সে ঠিক করে, বড় হয়ে একজন ডাক্তার, একজনইঞ্জিনিয়ার, একজন রাজনীতিবিদ হবে অথবা চাঁদ বা মঙ্গল গ্রহে যাবে। এই সময়সে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে এবং এই সময়টায় তাদের কে গঠন করার প্রকৃত সময়। আপনি তাদেরকে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করতেপারেন।”
25. “যখন আমরা কোনো সমস্যার মোকাবিলা , তখন আমরা আমাদের সাহস এবং আমাদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অফুরন্ত শক্তিকে খুঁজে পাই। অসফল হলে আমরা ভাবি সমস্ত সুযোগ সুবিধা আমাদের কাছে ছিল, আমাদেরকে কেবল তা খুঁজে বার করার প্রয়োজন ছিল।”
Related post:
26. “রাষ্ট্রপতি পদের রাজনীতিকরণ করা উচিত নয়। একবার রাষ্ট্রপতি রূপে নির্বাচিত হয়ে গেলে তিনি রাজনীতির উপরে”
27. “আমারমতে, আপনি অল্প বয়সে অধিক আশাবাদী হন এবং এই সময় আপনার কল্পনা শক্তি অধিক হয়। আপনার মধ্যে ভেদাভেদও কম হয়।”
28. “যতক্ষণ না ভারত দুনিয়ার সামনে নিজেকে মেলে ধরবে ততক্ষন কেউআমাদের সম্মান করবে না। এই দুনিয়াতে ভয়ের কোনো স্থান নেই। কেবল মাত্র শক্তিই শক্তিকে সম্মান করে।”
29. “ভারত এক বিকশিত রাষ্ট্রে বদলাতে হবে, নৈতিক মূল্যের সাথে এক সমৃদ্ধ দেশে।”
30. “ভারতবর্ষ পরমাণু অস্ত্র ছাড়া থাকতে পারবে। এটা আমাদের স্বপ্ন, এটা আমেরিকারও স্বপ্ন হওয়া উচিত।”
31. “আমার কাছে নেতিবাচক অনুভূতি বলে কিছুনেই।”
32. “বর্তমান সময়ে ইংরেজি শেখা খুবইআবশ্যক, কারণ বিজ্ঞান এর সমস্ত কাজ ইংরেজিতে হয়। আমি বিশ্বাস করি যে আগামী দুই দশক এ বিজ্ঞান এর কাজ আমাদের ভাষায় হওয়া শুরুহবে। তখন আমরা জাপানিদের মতো সমানে এগিয়ে যেতেপারব।”
33. “বিজ্ঞান প্রমান করেছে যে মানুষের শরীর লাখ লাখ পরমাণু দিয়া তৈরী। উদাহরণ হিসাবে, আমার শরীরে 5.8×10^27 গুলো পরমাণু আছে।”
34. “আমার চুল ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনি তা থামাতে পারবেন না। এটা বাড়তেই থাকবে – বেহিসাব বাড়বে।”
35. “ভগবান কেবল তাদেরকেই সাহায্য করে যারা পরিশ্রম করে। এটা খুবই স্পষ্ট।”
36. “একজন শিক্ষার্থীর সবথেকে বড় গুণ হল সে প্রশ্ন করে। তাকে প্রশ্ন করতে দিন।”
37. “বিজ্ঞান মানবতার জন্য একটি সুন্দর উপহার। আমাদের তাকে বিকৃত করা উচিত নয়।”
38. “এখন আঙ্গুলের একটি ক্লিকে পাওয়া তথ্য আমাকে আশ্চর্য করে।”
39. “রাজনীতি কি? রাজনৈতিক প্রণালী বিকাশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক রাজনীতির সমান।”
40. “অনেক বছর ধরে আমি আমার আকাশে ওড়ার স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রেখেছি , কোনো মেশিনকে Stratosphere এর উপরে আরও উপরে নিয়ে যাওয়া আমার স্বপ্ন।”
41. “রাষ্ট্র জনগণ নিয়ে তৈরী হয়। আর তাদের সম্মলিত প্রয়াসে তারা সবকিছু করতে পারে।”
42. “যেখানে হৃদয় সৎ সেই ঘরে সবকিছু সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে ; যখন ঘরে সবকিছু সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে তখন দেশে নিয়ম থাকে ; আর যখন দেশে নিয়ম থাকে তখন দুনিয়াতে সবাই শান্তিতে থাকে।”
43. “শিক্ষার উদ্দেশ্য হল কৌশল এবং বিশেষজ্ঞতার সাথে ভালো মানুষ তৈরী করা; এক মাত্র শিক্ষকরাই পারে এই রকম মানুষ তৈরী করতে।”
44. “আমি হাতিয়ারের প্রতিযোগিতার বিশেষজ্ঞ নয়।”
45. “আমার কাছে দুই ধরণের মানুষ আছে : যুবক এবং অনুভবী।”
46. “যখন বাচ্চারা সবার থেকে নিজেকে আলাদা ভাবে প্রকাশ করার জন্য সংঘর্ষ করছে, তখন কিন্তু দুনিয়ার সবাই চেষ্টা করছে তারা যেন আর সবার মতো হয়।”
47. “ভারতকে নিজের ছত্র ছায়ায় চলা উচিৎ – আমাদের নিজস্ব ডেভেলপমেন্ট মডেল হওয়া উচিৎ।”
48. “বুদ্ধিদীপ্ত মস্তিস্কর সামনে কোনো প্রতিবন্ধকতায় দাঁড়াতে পারে না।”
49. “যুদ্ধ কোনো সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয়।”
50. “এমন অনেক নারী আছে যারা সমাজে বিরাট পরিবর্তন এনেছে।”
51. “ক্ষমতার নির্মাণ সমাজের অসাম্যকে কে ভঙ্গ করে। এর ফলে বিভেদ দূর হয়।”
1 Bonus APJ Abdul Kalam Bani in Bengali
52. “মহান শিক্ষক জ্ঞান, আবেগ ও সমবেদনা নির্মিত হয়।” – APJ Abdul Kalam
আশা করি এ পি জে আব্দুল কালামের উক্তি (APJ Abdul Kalam Bani in Bengali) গুলো পড়ে আপনি একটু হলেও অণুপ্রাণিত হয়েছেন।
APJ Abdul Kalam bani in Bengali এর মত আমাদের অন্যান্য অনুপ্রাণিত লেখা ও বিখ্যাত মানুষের জীবনী ও উক্তি সম্পর্কিত লেখার নিয়মিত notification পাওয়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন ।
আর আপনার আশে পাশের মানুষদের অনুপ্রাণিত করতে তাদের সাথে এই লেখাটি Share করুন।
Save my name, email, and website in this browser for the next time I comment.
Notify me of follow-up comments by email.
Notify me of new posts by email.
(a. p. j. abdul kalam).
আভুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম (Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam) [জন্ম ১৫ অক্টোবর, ১৯৩১ – মৃত্যু ২৭ জুলাই, ২০১৫] অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্ম নিয়েও রকেট বিজ্ঞানী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বলা হয়ে থাকে ভারতের আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তাঁর হাতেই গড়ে উঠেছিল। ১৯৯৮ সালে ভারতের চালানো পারমাণবিক পরীক্ষাগুলোর ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি হন। সেটি ছিল ২০০২ সালের ঘটনা। তাকে নিয়ে বিতর্ক কখনোই ছিল না। জনগণের রাষ্ট্রপতি হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। রাজনৈতিক এবং বিতর্কিত প্রসঙ্গ এড়িয়ে বক্তব্য দিতে পছন্দ করতেন তিনি। রাজনীতির চেয়ে তাঁর শিক্ষকসুলভ আচরণই মুখ্য ছিল। কিন্তু বলা হয়ে থাকে ভারতের গুজরাটে হিন্দু মৌলবাদীদের হাতে হাজার হাজার মুসলিম নিধন এবং তাতে সরকারের ইন্ধনের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে একজন মুসলমান ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করার মাধ্যমে নিজেদের ভাবমূর্তি উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়েছিল ভারত সরকার।
আরও দেখুন: এ পি জে আব্দুল কালাম এর বিখ্যাত উক্তিগুলো
উইলিয়াম শেকসপিয়র
মেরিলিন মনরো
মোহাম্মদ লুৎফর রহমান
স্টিফেন রিচার্ডস কভি
স্টিফেন হকিং
শিবরাম চক্রবর্তী
এলোপাতাড়ি উক্তি.
এ.পি.জে. আব্দুল কালাম ১৯৩১ সালের ১৫ অক্টোবর, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমের এক তামিল মুসলমান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।
পেশাগত দিক থেকে বিজ্ঞানী ছিলেন তিনি এবং দেশ গড়ার কাজে ব্রতী হয়েছিলেন। তিনি ‘ইসরো’, ‘ডিআরডিও’-তে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। পরে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি হন।
ভারতের ‘মিসাইল ম্যান’ নামে খ্যাত এ.পি.জে. আব্দুল কালামের ব্যক্তিগত জীবন খুবই সহজ এবং শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল। তিনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিলেন।তিনি মারা যান ২৭ জুলাই ২০১৫ সালে।
জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে তার লেখা বাণী মানুষকে অনুপ্রাণিত করে জীবনের পথে এগিয়ে যেতে। তার মূল্যবান ৭৫ টা বাণী হল –
এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি ফিদেল কাস্ত্রোর উক্তি ও বাণী সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি ভীষ্মের উপদেশমূলক বাণী সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি জীবনানন্দ দাশের উক্তি সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
কিনে নিন আব্দুল কালামের লেখা দারুন একটি বই, Ignited Minds: Unleashing the power within India
এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত আমাদের আজকের এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে আশা করি শেখ হাসিনার বিখ্যাত উক্তি সম্পর্কিত আমাদের পোস্টটি ও আপনাদের মনের মতন হবে।
এ পি জে আবদুল কালাম এর অনুপ্রেরণামূলক বাণী সম্পর্কিত আজকের এই পোষ্টটি আপনাদের পছন্দ হলে আশা করব আপনারা আপনাদের বন্ধু মহলে, পরিজনকেও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্টটি শেয়ার করে নেবেন ।
Go to Generate Picture Page by Entering Your Email Address
If you provide your email then we will not ask you for email again.
Editorial Desk
বকরি ঈদ/ ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বার্তা, best ever greetings and wishes on Bakri Eid/ Eid al-adha in Bengali
বকরা ঈদ যা ঈদুল আযহা নামেও পরিচিত, সারা বিশ্বের মুসলমানদের দ্বারা বহুল...
হযরত আলীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা, Wishes and greetings on Hazrat Ali's birthday
মুসলমানদের চতুর্থ খলিফা হজরত আলীর আসল নাম ছিল আলী ইনবে অবি তালিব। হজরত আলী...
A.P.J. Abdul Kalam was an Indian scientist and politician who served his country as president from 2002 to 2007.
(1931–2015)
Early years, rise to the presidency, death and legacy, who was a.p.j. abdul kalam.
A.P.J. Abdul Kalam was an aerospace scientist who joined India's defense department after graduating from the Madras Institute of Technology. He was a central figure in the development of the country's nuclear capabilities and was hailed as a national hero after a series of successful tests in 1998. Kalam served as India's president for one term from 2002 to 2007, and died of a heart attack on July 27, 2015.
FULL NAME: A.P.J. Abdul Kalam BORN: October 15, 1931 DIED: July 27, 2015 BIRTHPLACE: Dhanushkodi, Rameswaram, India SCHOOLS: Madras Institute of Technology, St. Joseph's College ASTROLOGICAL SIGN: Leo
Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam was born into a Muslim family on October 15, 1931, on the island of Dhanushkodi off the southeastern coast of India. He developed an early fascination with flight by watching birds, which developed into an interest in aeronautics after he saw a newspaper article about a British fighter plane.
Despite his modest beginnings – his dad built and rented boats – Kalam was a bright student who showed promise in science and mathematics. He attended St. Joseph's College and went on to earn a degree in aeronautical engineering from the Madras Institute of Technology.
His hopes of becoming a fighter pilot were dashed when he narrowly missed out on a spot with the Indian Air Force. Kalam instead joined the Defense Research and Development Organization (DRDO) as a senior scientific assistant in 1958. After moving to the newly formed Indian Space Research Organization (ISRO) in 1969, he was named project director of the SLV-III, the first satellite launch vehicle designed and produced on Indian soil.
Returning to the DRDO as director in 1982, Kalam implemented the Integrated Guided Missile Development Program. He then became the senior scientific adviser to India's defense minister in 1992, a position he used to campaign for the development of nuclear tests.
Kalam was a key figure in the May 1998 Pokhran-II tests, in which five nuclear devices were detonated in the Rajasthan Desert. Although the tests resulted in condemnation and economic sanctions from other world powers, Kalam was hailed as a national hero for his staunch defense of the country’s security.
In 2002, India's ruling National Democratic Alliance helped Kalam win an election against Lakshmi Sahgal and become India's 11th president, a largely ceremonial post. Known as the People's President, Kalam set a goal of conducting 500,000 one-on-one meetings with young people over the course of his five-year term. His immense popularity led to him being nominated by MTV for a Youth Icon of the Year award in 2003 and 2006.
After leaving office in 2007, Kalam became a visiting professor at several universities. He formed the "What Can I Give Movement" in 2011 with the goal of creating a compassionate society, and in 2012, his efforts to improve healthcare led to the release of a tablet for medical personnel to use in remote areas.
On July 27, 2015, Kalam suffered a massive heart attack while lecturing at the Indian Institute of Management and subsequently died at the age of 83.
Kalam was laid to rest on July 30 with full state honors in his native Tamil Nadu. In honor of the scientist and former president, the southeast Indian state government of Tamil Nadu created a "Dr. A.P.J. Abdul Kalam Award," which recognizes exceptional individuals who promote the sciences, students and humanities. The government has also established Kalam's birthday (October 15) as "Youth Renaissance Day." Discussion about building a large-scale memorial at his burial site is underway.
Among his many accolades, including honorary doctorates from 40 universities, he was granted the Padma Bhushan (1981), the Padma Vibhushan (1990) and the Bharat Ratna (1997) — India's highest civilian awards — for his contributions in modernizing government defense technology. He also wrote several books, including the autobiography Wings of Fire in 1999.
Fact Check: We strive for accuracy and fairness. If you see something that doesn't look right, contact us !
The Biography.com staff is a team of people-obsessed and news-hungry editors with decades of collective experience. We have worked as daily newspaper reporters, major national magazine editors, and as editors-in-chief of regional media publications. Among our ranks are book authors and award-winning journalists. Our staff also works with freelance writers, researchers, and other contributors to produce the smart, compelling profiles and articles you see on our site. To meet the team, visit our About Us page: https://www.biography.com/about/a43602329/about-us
Harvey Milk
A Car Accident Killed Joe Biden’s Wife and Baby
Tammy Duckworth
Julius Caesar
10 of the First Black Women in Congress
Kamala Harris
Deb Haaland
Why Lewis Strauss Didn’t Like Oppenheimer
Madeleine Albright
These Are the Major 2024 Presidential Candidates
Hillary Clinton
অগ্নিপুরুষ আবদুল কালাম (১৯৩১ - ২০১৫) এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ – ২০০৭)। কালাম তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন বিজ্ঞানী হিসেবে পরে এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ঘটনাচক্রে গণপ্রজাতন্ত্রী ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। কালামের জন্ম বর্তমান ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরমে।
Today Gk All Exams: Apj Abdul Kalam Biography in Bengali – এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মিসাইল টেকনোলজি বিশেষ অবদানের কারনে তালে মিসাইল ম্যান এর উপাধি দেওয়া হয়। কিভাবে তিনি দারিদ্রতার মধ্যে থেকে প্রথমে বিজ্ঞানী ও তার পর রাষ্ট্রপতি হয় তা সমস্ত যুব সমাজকে এক অনুপ্রেরণা জোগাতে সাহায্য করে। আজ আমরা সেই মহান ব্যক্তি ও বিজ্ঞানী এপিজে আব্দুল কালামের জীবনী (Biography of abdul kalam bangla) সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে পড়বো
Read More: আব্দুল কালামের প্রেরণামূলক বক্তব্য | APJ Abdul kalam quotes.
এ.পি.জে. আবদুল কালাম কে ছিলেন ? Who is A.P.J. Abdul Kalam ?
এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফ’স কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা (এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি (এম আই টি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর চল্লিশ বছর এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন।
: | আভুল পকির জয়নুলাবেদীন আব্দুল কালাম বা এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) |
১৫ অক্টোবর ১৯৩১ (15th October 1931) | |
ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত রামেশ্বরম | |
পিতা: জয়নুলআবেদিন মারাকায়ার, মাতা: অশিয়াম্মা | |
ভারতীয় | |
সেন্ট জোসেফ’স কলেজ, তিরুচিরাপল্লি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি | |
অধ্যাপক, লেখক, বিমান প্রযুক্তিবিদ | |
ইসলাম | |
২০০২ – ২০০৭ | |
২৭ জুলাই ২০১৫ [27th July 2015] | |
হৃদরোগ |
জন্ম ও বংশ পরিচয়:.
আমাদের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি আবদুল কালামকে মিসাইলম্যান বলা হয়ে থাকে। ১৯৩১ সালে জন্মেছিলেন তিনি ভারতের দক্ষিণতম প্রান্ত রামেশ্বরম দ্বীপনগরের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। পিতা জয়নাল আবেদিন খুব বেশী শিক্ষিত মানুষ ছিলেন না। তবে মনের দিক থেকে তিনি ছিলেন খুবই বড়মাপের। ছোট্টবেলা থেকে পুত্র আব্দুলের মনে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। বারবার তিনি গল্পচ্ছলে আবদুলকে বলতেন পরবর্তী কালে তুমি যেন মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠতে পা র। তিন ভাই আর একবোনের সংসার জালালউদ্দিন আর শামসুদ্দিনের সঙ্গে আব্দুলের স্বীকার করেছেন, বেড়ে ওঠার এই ব্যস্ত প্রহরে দু-ভাইয়ের সান্নিধ্যে তাকে নানাভাবে উপকৃত করেছিল।
তিন ভাই ছিলেন পিতার আদর্শে গড়া সততার প্রতিমূর্তি। মা আসিয়াম্মা সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকতেন। শত দুঃখকষ্ট জ্বালা যন্ত্রণাকে সহ্য করার মতো সহিষ্ণুতা লুকিয়ে ছিল তাঁর অন্তরে। মায়ের পরিবারের পূর্বপুরুষ ব্রিটিশ প্রদত্ত বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন মা কিন্তু তাঁর এই ভাগ্য বিপর্যয়কে হাসিমুখে মেনে নিয়েছিলেন। তিনটি পুত্র এবং একটি কন্যা সন্তানকে কিভাবে বড়ো করা যেতে পারে, তাই ছিল তাঁর ইহ জীবনের স্বপ্ন।
ছোটবেলার খেলার সাথীদের কথাও মনে পড়ে যায় আব্দুলের। মেলামেশা করতেন রামনাথ শাস্ত্রী, অরবিন্দন আর শিব প্রকাশনের সঙ্গে, তারা সকলেই ছিলেন সনাতনপন্থী হিন্দু পরিবারের সন্তান। আর আব্দুল গোড়ামুসলমান। কিন্তু শৈশবে তাঁদের মধ্যে সাম্প্রদায়িকতার ভেদ রেখা ছিল না। তখন তাঁরা সকলেই একসঙ্গে মেলামেশা করতেন। ভারী সুন্দর ছিল শৈশবের এই অকলঙ্ক দিনগুলি।
পৃথিবীর কোনো সমস্যার বোঝা তখন আমাদের মাথার ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়নি। স্মৃতিচারণের মাধ্যমে বারবার এই হারিয়ে যাওয়া রঙিন দিনগুলির কথা শুনিয়েছেন আব্দুল কালাম। তখন সারা বছরের সবচেয়ে বড়ো উৎসব ছিল শ্রীসীতারাম কল্যাণম উৎসব। গোটা পরিবার এই উৎসবে অংশ নিত। রাম সীতার মূর্তি মন্দির থেকে নৌকায় করে তুলে বিবাহমন্ডপে নিয়ে যাওয়া হত । আবার উৎসব শেষ হলে দুটি মূর্তিকে ফেরত নিয়ে যাওয়া হত মন্দিরে। কাছেই একটি পুকুর ছিল রামতীর্থ। সেখানে এই দুটি মূর্তিকে শ্রদ্ধাসহকারে অবগাহন করানো হত। ভাবতে অবাক লাগে, আজ থেকে কত বছর আগে গোড়া মুসলমান পরিবারের সন্তান হওয়া সত্ত্বেও আব্দুল পরম আগ্রহে ওই বাৎসরিক উৎসবে যোগ দিতেন।
দিন কাটতে থাকে এবার কালামকে বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে হবে। পিতা ছিলেন বিদ্যানুরাগী, সংস্কৃত সাহিত্যের গল্পকথা আব্দুলকে শোনাতেন। মা ঠাকুরমার মুখ থেকে আব্দুল রামায়ন এবং মহাভারতের অনেক কাহিনীও শুনেছিলেন। এই ভাবে তার হৃদয়ে সংস্কৃতির পরম্পরা প্রবাহিত হয়েছিল। তিনি ভর্তি হলেন রামেশ্বরম এলিমেন্টরি স্কুলে। পাশাপাশি বেঞ্চে বসে ক্লাস করেন নিষ্ঠাবান ব্রাহ্মণ পুত্রের সঙ্গে টিফিনে একই খাবার ভাগ করে খান। এখানে কোথায় যেন একটা অঘটন ঘটে গেল কালাম তখন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মাথায় টুপি পড়তেন। এই টুপি দেখে বোঝা যেত তিনি মুসলমানপরিবারের সন্তান ক্লাসে সবসময় প্রথম বেঞ্চে বসতেন।
একদিন কঠিন কঠোর নীতিবাগিস শিক্ষকমশাই আব্দুলকে প্রথম বেঞ্চ থেকে সরিয়ে দিলেন। আব্দুল এই অপমান অনেকদিন মেনে নিতে পারেননি। অবশ্য পরবর্তীকালে ওই মাস্টারমশাই তার ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। তিনি আবদুলকে আবার প্রথম বেঞ্চে ডেকে নেন। রামেশ্বরমে তখন ছোট ছোট সামাজিক গোষ্ঠীর অস্তিত্ব ছিল। এক গোষ্ঠীর সদস্যদের সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর ক্ষমতার লড়াই চলত। এই ভেদনীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ধ্বজা তুলতে চেয়েছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিব সুব্রহ্মনিয়াম আয়ার। আয়ার ছিলেন আব্দুলের প্রিয় শিক্ষক। কালাম বড়ো হলেন। গ্রামের সংস্কৃতির মধ্যে বেড়ে উঠলেন। খেতে ভালোবাসতেন মাদ্রাজি খাবার, কলা, ভাত আর সম্বর। লঙ্কার সঙ্গে চাটনি। আব্দুলের বাড়ি থেকে রামেশ্বরমের বিখ্যাত শিব মন্দিরটির দূরত্ব খুবই কম। সেই মন্দিরে মাঝে মাঝেই যেতেন তিনি। চোখ বন্ধ করলে ছোটবেলার খন্ড খন্ড ছবি ভেসে ওঠে।
রামেশ্বরম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পক্ষিলছমন শাস্ত্রীর সঙ্গে পিতার আধ্যাত্মিক আলোচনা বুঝি এখনো শুনতে পান। মুসলমান পিতা এবং হিন্দু পুরোহিত দুধরনের পোশাক পড়ে একই বিষয় নিয়ে ভাববিনিময় করছেন। একটু বড়ো হয়ে আব্দুল বাবার কাছে জানতে চেয়েছিলেন বাবা, প্রার্থনার কি আলাদা অর্থ আছে? বাবা বলেছিলেন শোন আব্দুল প্রার্থনার একটা আলাদা মূল্য আছে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে আত্মা আছে। প্রার্থনার দ্বারা আত্মার সাথে দেহের যোগসূত্র স্থাপিত হয়।
পরবর্তীকালে কালাম জানিয়েছেন আমার বাবারআধ্যাত্মিক চিন্তা ছিল সহজ সরল গ্রাম্য প্রকৃতির। তিনি বলতেন, এ পৃথিবীর সকলেই ঐশবিক অস্তিত্বের অঙ্গ। সকলের মধ্যে স্বয়ং আল্লাহ বসবাস করছেন। এবার কালাম এলেন বৃহত্তর শিক্ষাঅঙ্গনে। ভর্তি হলেন স্টুয়াজ হাইস্কুলে। ছোটবেলার সঙ্গীসাথীদের সাথে আর তাঁর দেখা হতো না। কিশোর কালাম উপলব্ধি করলেন সেই শাশ্বত সত্য জীবনে চলার পথে এভাবেই আমরা একলা পথিক হয়ে যাই। এই হাইস্কুলের অনেকের কথাই মনে পড়ে। ওখানকার শিক্ষক ইয়াদুরাই সলমনাকে তিনি কখনোই ভুলতে পারবেন না। তাঁকে দেখে কিশোর কালামের মনে হত, তিনি বোধহয় বৈদিক যুগের এক ব্রহ্মচারী।
ছাত্রের জীবন অন্বেষনার কাজে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। সলোমন কালামকে কর্মযোগী পুরুষে পুরুষে পরিনত করেছিলেন। এই শিক্ষক কালামকে তিনটি মূল মন্ত্র শিখিয়েছিলেন। জীবনে আফল হতে হলে তিনটি গুণের অধিকারী হতে হবে ইচ্ছা, বিশ্বাস এবং আশাবাদ। ইচ্ছা হল স্বপ্নের প্রথম প্রহর। যদি মনের মধ্যে ইচ্ছার বীজ তপ্ত না হয় তাহলে আমরা সফলতার গাছ কখনো দেখতে পাবনা। দ্বিতীয় প্রহর হল বিশ্বাস। নিজের কর্তব্যবোধের ওপর অবিচল আস্থা থাকতে হবে। ঈশ্বরের ওপর বিশ্বাস এবং নির্ভরতা রাখতে হবে। সর্বশেষ প্রহরে আশাবাদ জেগে ওঠে।
আশাবাদ না থাকলে অরণ্যচারী মানুষ মহাকাশ বিজয়ী হতে পারতেন না। পরবর্তীকালে সলোমন রেভারেন্ড হয়েছিলেন। তিনি কালামকে বলেছিলেন, কোনো কাজ সার্থকভাবে পূর্ন করতে হলে তোমাকে সেই কাজটির জন্য বাসনা তৈরি করতে হবে। মনে মনে বারবার বলতে হবে, এই কাজটিআমার দ্বারাই হবে। এই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য আমি এই পৃথিবীর বুকে জন্ম গ্রহণ করেছি। শিক্ষকের আর একটি কথা কালামকে উদ্দীপ্ত করত। পড়াতে পড়াতে তিনি প্রায়শই বলতেন, বিশ্বাসের জোরে তুমি ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে পারবে। পরবর্তীকালে কালাম এই ব্যাপারটি নিজের জীবনে সত্যি বলে প্রমান করেছিলেন। সাধারণ পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি জগৎ সভায় ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন। ১৯৫০ সালে সেন্ট জোসেফ কলেজে ভর্তি হলেন কালাম, ইন্টার মিডিয়েট কোর্সে। এই কলেজে তাঁর চারটি বছর কেটে গিয়েছিল। তারপর উচ্চ শিক্ষার্থে বিদেশে পাড়ি।
ছোটবেলা থেকেই ছিলেন বিজ্ঞানের এক অসাধারন প্রভাবশালী ছাত্র। স্কুলের পরীক্ষাতে বরাবর কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছেন। তাঁর কর্মজীবনটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ন। তিনি ভারতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিলেন। এখন আমরা যেসব রকেট উৎক্ষেপণ করি, বা অন্তর্দেশিয় ক্ষেপণাস্ত্র তৈরী করি, তার অন্তরালে আব্দুল কালামের অবদান সবসময় স্মরণে রাখতে হবে। তাঁকেই ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির প্রাণপুরুষ বলা হয়ে থাকে। পারমাণবিক বোমা বিস্ফরনের পরবর্তী সময়ে তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বলেছিলেন যে, যদিও আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরমাণু বোমাকে প্রয়োগ করতে বদ্ধপরিকর, কিন্তু এ বিষয়ে পিছিয়ে থাকলে আমাদের চলবে না, আমাদের একটি নিউক্লিয়ার পোর্টফলিও তৈরি করে ফেলতে হবে।
মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে তিনি তার পড়াশোনা সম্পন্ন করার পরে এপিজে আব্দুল কালাম ১৯৬০ সালে সর্বপ্রথম তিনি তিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থা (DRDO) তে টেকনিক্যাল সিনিয়র বিজ্ঞানী হিসেবে যোগদান করেন। সেই সংস্থায় কর্মরত থাকা কালীন তিনি তার কর্মজীবনের শুরুতে ভারতীয় সেনার জন্য হোভার এয়ারকারফ একটি নকশা তৈরি করেন। DRDO তে কর্মরত থাকা কালীন Prototype Hovercraft এর জন্য তৈরি একদল ইঞ্জিনিয়ার এর নেতৃত্ব করেন।
১৯৬২ সালে আব্দুল কালাম ভারতীয় রক্ষা সংস্থায়টি (DRDO) থেকে বদলি হয়ে ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগদান করেন। সেখানে তিনি প্রথমে মহান মহাকাশ বিজ্ঞানী ডক্টর বিক্রম সরভাইয়ের নেতৃত্বে কাজ করেন এবং পরবর্তীকালে বড়ো পদে উন্নতি লাভ করেন।
১৯৬৯ সালে এপিজে আব্দুল কালাম ISRO দ্বারা নির্মিত ভারতের প্রথম SLV -৩ (রোহিণী) এর জন্য তাকে প্রজেক্ট হেড করা হয়।
তার নেতৃত্বে ১৯৮০ সালে ভারত প্রথম তার SLV (রোহিণী) কে পৃথিবীর নিকটতম কক্ষপথে স্থাপন করতে সক্ষম হয়।
ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র (ISRO) যোগ দেওয়ার পর থেকে এপিজে আব্দুল কালামের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় ছিল, তখন তিনি অনুভব করেছিলেন যেন তিনি যেমন ভেবেছিলেন ঠিক তেমন কাজ করার সৌভাগ্য পেয়েছেন ।
১৯৮২ সালে, তিনি আবার প্রতিরক্ষা গবেষণা এবং উন্নয়ন সংস্থায় (DRDO) পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এপিজে আব্দুল কালামের নেতৃত্বে ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রাম সফলভাবে চালু হয়েছিল, তিনি এই প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী ছিলেন। সেই প্রজেক্ট এর জন্য ভারত অগ্নি ও পৃথিবী মিসাইল পাই।
১৯৯২ সালে, এপিজে আব্দুল কালাম তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর উপদেষ্টা, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) সেক্রেটারি বিভাগের সচিব হন। তিনি ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত এই পদে কাজ চালিয়ে যান।
মহাকাশ বিজ্ঞানে ও ভারতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থাই এই অবদানের জন্য তাকে ভারতের সবথেকে সন্মানীয় পুরস্কার “ভারতরত্ন” দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
১৯৯০ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর আত্মজীবনী - "উইংস অফ ফায়ার"। এই গ্রন্থের পাতায় পাতায় বিধৃত আছে মানব কল্যাণে উৎসর্গকৃত প্রাণ এই মহান বিজ্ঞানীর অন্তরের ইচ্ছা।
এপিজে আব্দুল কালাম বৈজ্ঞানিক হিসেবে অধিক নাম ও খ্যাতির কারণে, তাকে ২০০২ সালে তৎকালীন ভারতের কেন্দ্রের (NDA) সরকারের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতি জন্য তার নাম মনোনীত করা হয়। এবং তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী লক্ষ্মী শেগলকে কে বিপুল ভোটে পরাজিত করে।
মহাকাশ বিজ্ঞান ও ভারতীয় সুরক্ষা বেবস্থায় তার অতুলনীয় কাজকর্মের জন্য তাকে ভারতে ও দেশ-বিদেশ থেকে একধিক পুরুস্কার ও উপাধি দিয়ে সম্মানিত করা হয়। তার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য সম্মান গুলি সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল –
এ.পি.জে. আব্দুল কালাম সম্পর্কে কিছু গুরুত্ব পূর্ণ তথ্য:.
If you have any doubts or questions, please let me know.... যদি আপনার কোনও সন্দেহ বা প্রশ্ন থাকে তবে দয়া করে আমাকে জানান.....
Popular posts.
Footer copyright.
Copyright (c) 2024 Today Gk All Exams All Right Reseved
Birthday: October 15 , 1931 ( Libra )
Born In: Rameswaram, Tamil Nadu, India
A.P.J. Abdul Kalam was a prominent Indian scientist who served as the 11th President of India from 2002 to 2007. Renowned for his pivotal role in the nation’s civilian space programme and military missile development, he was known as the Missile Man of India. He made significant contributions to India's Pokhran-II nuclear tests in 1998 which established him as a national hero. An alumnus of the prestigious Madras Institute of Technology, Kalam began his career as a scientist at the Aeronautical Development Establishment of the Defence Research and Development Organization (DRDO). He was later transferred to the Indian Space Research Organisation (ISRO) where he served as the project director of India's first Satellite Launch Vehicle (SLV-III). He eventually rejoined DRDO and became closely involved in India’s space programme. he served as the Chief Scientific Adviser to the Prime Minister in the 1990s before becoming the President of India in 2002. Immensely popular during his term, he earned the moniker of People's President. He was honored with several awards including the Bharat Ratna, India's highest civilian honour, for his contribution to the nation’s space and nuclear programme.
Recommended For You
Indian Celebrities Born In October
Also Known As: Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam
Died At Age: 83
father: Jainulabudeen
mother: Ashiamma
Born Country: India
Quotes By A.P.J. Abdul Kalam Presidents
Height: 5'6" (168 cm ), 5'6" Males
Died on: July 27 , 2015
place of death: Shillong, Meghalaya, India
Notable Alumni: St. Joseph's College, Tiruchirappalli, Madras Institute Of Technology, Anna University
Cause of Death: Cardiac Arrest
education: Madras Institute Of Technology, Anna University, St. Joseph's College, Tiruchirappalli
awards: Bharat Ratna (1997) Padma Vibhushan (1990) Padma Bhushan (1981)
Indira Gandhi Award for National Integration (1997) Ramanujan Award (2000) King Charles II Medal (2007) Hoover Medal (2008) International von Kármán Wings Award
What were a.p.j. abdul kalam's major contributions to the field of science and technology.
A.P.J. Abdul Kalam made significant contributions to missile technology and space research in India. He played a crucial role in the development of India's first indigenous satellite launch vehicle (SLV-III) and the successful testing of nuclear weapons.
A.P.J. Abdul Kalam was known for his motivational speeches and interactions with students. He encouraged the youth to dream big, work hard, and strive for excellence in their chosen fields. He often emphasized the importance of education, innovation, and perseverance.
A.P.J. Abdul Kalam envisioned a developed India that excelled in science, technology, and innovation. He believed in harnessing the potential of young minds to drive the country towards progress and prosperity. He promoted the idea of sustainable development and inclusive growth for all citizens.
A.P.J. Abdul Kalam was a strong advocate for education and believed that it was the key to unlocking a brighter future for individuals and the nation as a whole. He established various initiatives and scholarships to support underprivileged children in pursuing their education and realizing their potential.
A.P.J. Abdul Kalam emphasized the importance of ethical leadership and good governance in shaping a better society. He believed that leaders should be role models who lead by example, uphold integrity, and work selflessly for the welfare of the people.
Recommended Lists:
Quotes By A.P.J. Abdul Kalam | Quote Of The Day | Top 100 Quotes
See the events in life of A.P.J. Abdul Kalam in Chronological Order
How To Cite
People Also Viewed
Also Listed In
© Famous People All Rights Reserved
IMAGES
VIDEO
COMMENTS
এ. পি. জে. আবদুল কালাম. অফিসিয়াল প্রতিকৃতি, ২০০২. ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি. কাজের মেয়াদ. ২৫ জুলাই, ২০০২ - ২৫ জুলাই, ২০০৭. প্রধানমন্ত্রী ...
APJ Abdul Kalam Biography in Bengali. এ. পি. জে. আব্দুল কালাম ছিলেন একজন সফল ভারতীয় মহাকাশ বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ তিনি ভারতের ১১ তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং ২০০২ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রপতির পদ অলংকৃত করেছেন।.
আপনি যদি APJ Abdul Kalam Biography in Bengali তে জানতে চান তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন|APJ Abdul Kalam যার পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুলাবদিন আব্দুল কালাম (Avul Pakir ...
February 1, 2023. এ.পি.জে.আব্দুল কালামের জীবনী: এ.পি.জে.আব্দুল কালাম, ওরফে আবুল পাকির জয়নুল আবেদিন আব্দুল কালাম, ভারতের মিসাইল ম্যান, ভারত তথা যুব সমাজের আইকন যিনি একজন সাধারণ পেপার বিক্রেতা থেকে তাঁর কর্ম, নিষ্ঠা ও সরল জীবনযাপনের মাধ্যমে দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের পদে অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত হতে পারেন!
এ.পি.জে. আবদুল কালাম (A.P.J. Abdul Kalam) ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ রাষ্ট্রপতি (২০০২ - ২০০৭)। কালাম তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন একজন ...
ড: এ পি যে আব্দুল কালামের জীবন কাহিনী | Biography of Dr.APJ Abdul Kalam | Life story in bangla #drapjabdulkalam #lifemotivation # ...
এপিজে আব্দুল কালাম জীবনী - APJ Abdul Kalam Biography in Bangla. জীবনযাত্রা খুবই সাধারণ থাকলেও তার কর্ম জীবন ছিল অসাধারণ। প্রধানত তিনি ৪০ বছর রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন ডি আর ডি ও (DRDO) ও ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় ইসরো বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রসাশন হিসেবে কাজ করেছেন।.
Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam BR ( / ˈəbdʊl kəˈlɑːm / ⓘ; 15 October 1931 - 27 July 2015) was an Indian aerospace scientist and statesman who served as the 11th president of India from 2002 to 2007. Born and raised in a Muslim family in Rameswaram, Tamil Nadu, he studied physics and aerospace engineering.
Apj Abdul Kalam Biography in Bengali - এপিজে আব্দুল কালাম ছিলেন একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী ও সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ, যিনি পরবর্তীকালে ভারতের ১১তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। মিসাইল টেকনোলজি বিশেষ অবদানের কারনে তালে মিসাইল ম্যান এর উপাধি দেওয়া হয়। কিভাবে তিনি দারিদ্রতার মধ্যে থেকে প্রথমে বিজ্ঞানী ও তার পর রাষ্ট্রপতি হয় তা সমস্ত যুব সমাজকে এক অনুপ্র...
এ.পি.জে আবদুল কালাম (APJ Abdul Kalam) "ভারতের মিশাইল ম্যান (Missile Man of India)" হিসাবে পরিচিত। আমরা সকলেই তাঁর কথা শুনেছি। তিনি ভারতবর্ষের একাদশতম ...
এ পি জে আবদুল কালামের জীবনী | A p J Abdul Kalam Biography in bengali | Life Story in bengalia p j abdul kalam life storya p j abdul kalamBiography of Dr ...
A.P.J. Abdul Kalam (born October 15, 1931, Rameswaram, India—died July 27, 2015, Shillong) was an Indian scientist and politician who played a leading role in the development of India's missile and nuclear weapons programs. He was president of India from 2002 to 2007.
এপিজে আব্দুল কালামের পুরো নাম আবুল পাকির জয়নুল-আবেদীন আব্দুল কালাম ( A P J Abdul Kalam ) । তাঁর জীবন এর গল্প পৃথীবির বুকে এমন একটি দৃষ্টান্ত ...
51+ Motivational APJ Abdul Kalam Bani in Bengali. 1. "সফলতার শীর্ষে পৌঁছানোর জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়, তা হতে পারে Mount Evarest এর শীর্ষ বা Career.". 2. "জীবন একটি কঠিন খেলা। মানুষ ...
আভুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম (Avul Pakir Jainulabdeen Abdul Kalam) [জন্ম ১৫ অক্টোবর, ১৯৩১ - মৃত্যু ২৭ জুলাই, ২০১৫] অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারে জন্ম ...
মানবিকতা ও সাফল্য নিয়ে কালামের বিখ্যাত উক্তি, Best humanity and success quotes by A.P.J. Abdul Kalam
e. Wings of Fire (1999), is the autobiography of the Missile Man of India and the former President of India, Dr. A. P. J. Abdul Kalam. It was written by him and Arun Tiwari.
Who Was A.P.J. Abdul Kalam? A.P.J. Abdul Kalam was an aerospace scientist who joined India's defense department after graduating from the Madras Institute of Technology.
এ.পি.জে. আবদুল কালাম ছিলেন ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের একাদশ ...
This video is about "Dr. APJ ABDUL KALAM मचवारे का बेटा भारत का मिसाइल मैन | Biography Of A.P.J. Abdul Kalam#apjabdulkalam #viral #motivation ...
A.P.J. Abdul Kalam was a prominent Indian scientist who served as the 11th President of India from 2002 to 2007. Renowned for his pivotal role in the nation's civilian space programme and military missile development, he was known as the Missile Man of India.